কলকাতা, 02জুন : ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কোয়েসের বিচ্ছেদ শেষ হয়েও হচ্ছে না যেন শেষ। ইতিমধ্যেই বিচ্ছেদের এই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন অন্ধকারে। পরিস্থিতি ঠিক কোন অবস্থায় দাড়িয়ে তা ফেডারেশন কর্তারাও জানেন না।
বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা নতুন স্ট্যান্স নেওয়ার কথা বলছেন এবং তার জন্য তারা যে কয়েকমাস আগে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, তা এখন আর গোপন নেই। এই অবস্থায় নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ISL খেলা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে ।
মঙ্গলবার বিকেলে খবর ছড়িয়ে পড়ে কোয়েস নাকি ইস্টবেঙ্গলকে মেইল করে জানিয়েছে, তারা লাল হলুদ সমর্থকের আবেগ ও ফুটবলের স্বার্থ রক্ষার কথা ভেবে দ্রুত এই ফুটবল স্বত্ব ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করবে। কিন্তু এই ধরনের মেইল পাঠানোর কথা বিনিয়োগ সংস্থার পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়নি।
ফুটবল রাইটস 31 মে-র পরে হাতে আসার কথা বলা হলেও সরকারি কাগজ এখনও আসেনি। ফলে দুই তরফের দড়ি টানাটানি এখনও চলছে। এদিকে ফেডারেশন কর্তারা বলছেন স্পোর্টিং রাইটস ফিরে পাওয়ার কথা জানিয়ে কোনও চেষ্টা চিঠি ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে আসেনি। ফলে মালিকানা ঠিক কোন জায়গায় দাড়িয়ে, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ।
এদিকে একাধিক ফুটবলারকে ইস্টবেঙ্গল সই করাচ্ছে, এই খবর ময়দানে ঘুরছে। লাল হলুদ কর্তারা তা কিছু ক্ষেত্রে স্বীকারও করে নিয়েছেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোন লিগে খেলবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় ইতিমধ্যে ফেডারেশন ইন্ডিয়ান অ্যারোজের দুই ফুটবলারকে চুক্তি পত্রে সই করতে বারণ করেছে। অন্য ফুটলারদের এজেন্টরাও পড়েছে দোটানায়।
ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ISl খেলা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, ফেডারেশনের কর্তারা এদিকে বলছেন, অক্টোবরের আগে লিগ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই । সেইদিক থেকে ইস্টবেঙ্গলকে আরও একমাস সময় দেওয়ার পক্ষেই দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। কারণ সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, তা দেখতে চাইছেন ফেডারেশন কর্তারা।
তবে জানা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গল একমাস নয়, দেড়মাস অপেক্ষা করার জন্য ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে।