ETV Bharat / briefs

রাজীব কি CID-র পদে ফিরতে পারেন ? - Kolkata

নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগেই রাজীব কুমারকে CID (ADG) পদে নিয়োগ করে রাজ্য প্রশাসন । সপ্তম দফায় নির্বাচনের আগে কলকাতায় BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর রোড শো'কে ঘিরে কলেজ স্ট্রিট এবং বিদ্যাসাগর কলেজে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর কমিশন রাজীব কুমারকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠায় । ভোট শেষের পর পুনরায় রাজীবকে CID (ADG) পদে বহাল করেছে রাজ্য । কিন্তু রাজ্য তা পারে কি না তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে ।

রাজীব কুমার
author img

By

Published : May 27, 2019, 8:44 AM IST

কলকাতা, ২৭ মে : ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে । বলা চলে, অনেকটা নিয়মমাফিক । নির্বাচন কমিশন দিয়েছিল নির্দেশ । নির্বাচনী আচরণবিধি শেষ হওয়ার পর আর পাঁচজন অফিসারের মতোই ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারকে । কিন্তু রাজ্য সরকারের পদে নির্বিঘ্নে যোগ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে । প্রশ্ন উঠেছে, এ নিয়ে আবার আইনি লড়াই হবে না তো?

নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগেই রাজীবকে ADG(CID)-র পদে বহাল করেছিল রাজ্য সরকার । ইন্টেলিজেন্সে তুখোড় ওই IPS অফিসারের এটাই যোগ্য পদ বলে মনে করেছিল রাজ্য পুলিশের অনেকেই । কিন্তু কমিশন নির্বাচন চলাকালীন হঠাৎই তাঁকে অ্যাটাচড হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ।

সাধারণভাবে ভোট শেষ হয়ে গেলেই অপসারিত অফিসারদের স্বপদে বহাল করে থাকে প্রায় প্রত্যেক রাজ্য প্রশাসন । তবে রাজীবকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে নির্বিঘ্নে ফিরিয়ে আনা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আইনি ব্যাখ্যাও বলছে এক একরকম মত। বলা হচ্ছে, IPS অফিসারদের ক্ষেত্রে ক্যাডার কন্ট্রোলিং অথরিটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । তাঁকে ফিরিয়ে আনতে হলে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়পত্র নিতে হবে । বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মত অনেকটা তেমনই । তিনি ETV ভারতকে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আচরণবিধির লাগু থাকার সময়, বদলি করা যেতে পারে যে কোনও অফিসারকে । কিন্তু আচরণবিধির শেষ হওয়ার পর রাজ্য সরকার তাঁদের স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পারে । এর বহু উদাহরণ রয়েছে। তবে রাজীব কুমারকে ফিরতে হলে নিতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন ।"

অন্যদিকে আবার রাজ্যের প্রাক্তন আমলাদের একটি অংশের যুক্তি, রাজীবকে নিয়োগ করতেই পারে রাজ্য সরকার। কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গের ক্যাডার। সেই যুক্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজীব কুমার সহ বেশ কয়েকজন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও রাজ্য সরকার তা এড়িয়ে যায় । এক্ষেত্রে রাজীব যেহেতু ডেপুটেশনে দিল্লিতে গেছেন এবং কমিশন তার নির্দেশে বলেছে অ্যাটাচড শব্দটি, তাই তাঁকে ফিরিয়ে নিতে রাজ্য সরকারের অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । পাশাপাশি তাঁর বেতন দিচ্ছে রাজ্য সরকার । তাই রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করতেই পারে । তবে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এ বিষয়ে আইনি জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা প্রবল।

কলকাতা, ২৭ মে : ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে । বলা চলে, অনেকটা নিয়মমাফিক । নির্বাচন কমিশন দিয়েছিল নির্দেশ । নির্বাচনী আচরণবিধি শেষ হওয়ার পর আর পাঁচজন অফিসারের মতোই ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারকে । কিন্তু রাজ্য সরকারের পদে নির্বিঘ্নে যোগ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে । প্রশ্ন উঠেছে, এ নিয়ে আবার আইনি লড়াই হবে না তো?

নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগেই রাজীবকে ADG(CID)-র পদে বহাল করেছিল রাজ্য সরকার । ইন্টেলিজেন্সে তুখোড় ওই IPS অফিসারের এটাই যোগ্য পদ বলে মনে করেছিল রাজ্য পুলিশের অনেকেই । কিন্তু কমিশন নির্বাচন চলাকালীন হঠাৎই তাঁকে অ্যাটাচড হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ।

সাধারণভাবে ভোট শেষ হয়ে গেলেই অপসারিত অফিসারদের স্বপদে বহাল করে থাকে প্রায় প্রত্যেক রাজ্য প্রশাসন । তবে রাজীবকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে নির্বিঘ্নে ফিরিয়ে আনা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আইনি ব্যাখ্যাও বলছে এক একরকম মত। বলা হচ্ছে, IPS অফিসারদের ক্ষেত্রে ক্যাডার কন্ট্রোলিং অথরিটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । তাঁকে ফিরিয়ে আনতে হলে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়পত্র নিতে হবে । বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মত অনেকটা তেমনই । তিনি ETV ভারতকে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আচরণবিধির লাগু থাকার সময়, বদলি করা যেতে পারে যে কোনও অফিসারকে । কিন্তু আচরণবিধির শেষ হওয়ার পর রাজ্য সরকার তাঁদের স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পারে । এর বহু উদাহরণ রয়েছে। তবে রাজীব কুমারকে ফিরতে হলে নিতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন ।"

অন্যদিকে আবার রাজ্যের প্রাক্তন আমলাদের একটি অংশের যুক্তি, রাজীবকে নিয়োগ করতেই পারে রাজ্য সরকার। কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গের ক্যাডার। সেই যুক্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজীব কুমার সহ বেশ কয়েকজন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও রাজ্য সরকার তা এড়িয়ে যায় । এক্ষেত্রে রাজীব যেহেতু ডেপুটেশনে দিল্লিতে গেছেন এবং কমিশন তার নির্দেশে বলেছে অ্যাটাচড শব্দটি, তাই তাঁকে ফিরিয়ে নিতে রাজ্য সরকারের অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । পাশাপাশি তাঁর বেতন দিচ্ছে রাজ্য সরকার । তাই রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করতেই পারে । তবে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এ বিষয়ে আইনি জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা প্রবল।

Intro:কলকাতা, ২৭ মে: ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে। বলা চলে, অনেকটা নিয়মমাফিক। নির্বাচন কমিশন দিয়েছিল নির্দেশ। নির্বাচনী আচরণবিধি শেষ হওয়ার পর আর পাঁচজন জন অফিসারের মতোই ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পদে নির্বিঘ্নে যোগ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। প্রশ্ন উঠেছে, এ নিয়ে আবার আইনি লড়াই হবে না তো?Body:নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগেই রাজীবকে এডিজি সিআইডির পদে নিয়ে যায় রাজ্য সরকার। ইন্টেলিজেন্সে তুখোড় ওই আইপিএস অফিসারের এটাই যোগ্য পদ বলে মনে করেছিল রাজ্য পুলিশের অনেকেই। কিন্তু কমিশন নির্বাচন চলাকালীন হঠাতই তাঁকে অ্যাটাচড হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

সাধারণভাবে ভোট শেষ হয়ে গেলেই অপসারিত অফিসারদের স্বপদে বহাল করে থাকে প্রায় প্রত্যেক রাজ্য প্রশাসন। রাজীবকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে নির্বিঘ্নে ফিরিয়ে আনা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আইনি ব্যাখ্যা ও বলছে এক একরকম মত। বলা হচ্ছে, IPS অফিসারদের ক্ষেত্রে ক্যাডার কন্ট্রোলিং অথরিটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।তাঁকে ফিরিয়ে আনতে হলে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়পত্র নিতে হবে। বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এর মত অনেকটা তেমনই। তিনি ইটিভি ভারতকে বলেন, “ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আচরণবিধির লাগু থাকার সময়, বদলি করা যেতে পারে যে কোনো অফিসারকে। কিন্তু আচরণবিধির শেষ হওয়ার পর রাজ্য সরকার তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পারে। এর বহু উদাহরণ রয়েছে। তবে রাজকুমারকে ফিরতে হলে নিতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন।"Conclusion:অন্যদিকে আবার রাজ্যের প্রাক্তন আমাদের একটি অংশের যুক্তি, রাজীবকে নিয়োগ করতেই পারে রাজ্য সরকার। কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গের ক্যাডার। সেই যুক্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্ণার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজীব কুমার সহ বেশ কয়েকজন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও রাজ্য সরকার তা এড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে রাজীব যেহেতু ডেপুটেশনে দিল্লিতে গেছেন এবং কমিশন কার নির্দেশে বলেছে অ্যাটাচট শব্দটি তাই তাকে ফিরিয়ে নিতে রাজ্য সরকারের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। পাশাপাশি তাঁর বেতন দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করতেই পারে। তবে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে এ বিষয়ে আইনি জটিলতা তৈরির সম্ভবনা প্রবল।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.