মালদা, 16 এপ্রিল : দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। নাম সামাদ শেখ। তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস এই ঘটনায় সাথে জড়িত। বৈষ্ণবনগর থানার সাহাবানচক গ্রামের ঘটনা। গতরাতে ওই তৃণমূলকর্মীকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তিনি বর্তমানে মালদা শহরের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। আহত তৃণমূলকর্মীর অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীর তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে। সামাদের কাছে 1 লাখ 92 হাজার 40 টাকা ছিল। সেই টাকাও দুষ্কৃতীরা নিয়ে গেছে। এই ঘটনায় বৈষ্ণবনগর থানায় চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সামাদ বলেন, "গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার সময় আমার সঙ্গে 1 লাখ 92 হাজার 40 টাকা ছিল। পথে আমির শেখের বোন জোরিনা আমার মোটরবাইক থামায়। সে তাকে একটু এগিয়ে দিতে বলে। তাকে নিয়ে কিছুটা এগোতেই দেখতে পাই, সেখানে দলবল নিয়ে আমির দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিছু বোঝার আগেই আমিররা আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমীর ছাড়াও সেখানে ছিল মোতি শেখ, সমীর শেখ ও মঞ্জুর শেখ। এরা সবাই এলাকার কংগ্রেস কর্মী। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমার টাকা এবং মোটরবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দে আশপাশের মানুষ বেরিয়ে আসেন। তাঁদের একজন আমাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে আমি ভাইকে ফোন করে গোটা ঘটনা জানাই।"
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে গুলিবিদ্ধ সামাদ সাহেবকে প্রথমে স্থানীয় বেদরাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেখান থেকে তাঁকে মালদা মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয়। মাঝরাতে তাঁকে শহরের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, "সামাদের তলপেটে গুলি লেগেছিল। আজ দুপুরে অস্ত্রোপচার করে সেই গুলি বের করা হয়েছে। রোগীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতের ঘটনায় আজ সামাদ শেখের ভাই চারজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন, "লোকসভা নির্বাচনের মুখে এলাকায় সন্ত্রাস শুরু করেছে কংগ্রেস। গতকালের ঘটনা তার প্রতিফলন। প্রচারে ব্যস্ত থাকায় আজ আমি তাঁকে দেখতে যেতে পারিনি। আগামীকাল সামাদ শেখের সঙ্গে দেখা করব।"
এই ঘটনাকে দুষ্কৃতীদের হামলা বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, "ওই এলাকায় আমির শেখ নামে আমাদের কোনও নেতা বা কর্মী নেই। কংগ্রেসকে হেয় করতে এটা তৃণমূলেরই চক্রান্ত। এটা সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না।"