কলকাতা, 5 এপ্রিল: তৈরি হয়ে গেছিল পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা নির্দেশিকার আকারে চলে গেছিল জেলায়। কিন্তু প্রথম দফার ভোটের সেই পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি আছে নির্বাচন কমিশনের। সূত্রের খবর তেমনই। নতুন করে পরিকল্পনা তৈরির জন্য কোচবিহারে তাই আনা হল নতুন পুলিশ অবজ়ারভার। প্রথম দফার ভোটের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় তিনি বেশ কিছু পরামর্শ দেবেন বলে সূত্রের খবর। আজই নতুন পুলিশ অবজ়ারভার শুরু করে দিয়েছেন কাজ।
লোকসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধুমাত্র স্পর্শকাতর বুথগুলোতেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। বাকি সব বুথে থাকতে চলেছে রাজ্য পুলিশের অস্ত্রধারী কনস্টেবলরা। ইতিমধ্যেই ADG আইনশৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার সহ কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন ভোটের সুরক্ষা ব্যবস্থার প্ল্যান। সেই চিঠি বলছে, এবার লোকসভা ভোটে সুরক্ষার প্রশ্নে প্রাধান্য পাবে রাজ্য পুলিশ। আর এক কিংবা দুই বুথ থাকা ভোট প্রেমিসেসে শুধুমাত্র থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিন, চার কিংবা পাঁচ বুথ বিশিষ্ট পোলিং প্রেমিসেসে থাকবে শুধুই রাজ্য পুলিশ।
ADG আইনশৃঙ্খলা প্রথম দুই দফা ভোটের জন্য যে বিন্যাস পাঠিয়েছেন, তা বলছে জলপাইগুড়ির যে অংশে প্রথম দফায় ভোট হবে তার ২৪৪টা প্রেমিসেসের ৩০৫টি বুথে থাকবে মাত্র এক কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে বুথে মোতায়েন থাকবে মোট ৬ সেকশন অর্থাৎ ৪৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। কুইক রেসপন্স টিমে থাকবে ৪ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। বুথে মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে থাকবে ১৫ জন লাঠিধারী হোমগার্ড। কোচবিহারে ১৬৬৮টি পোলিং প্রেমিসেসে থাকা ২২৬২টি বুথে থাকবে ৬ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে বুথে মোতায়েন করা হচ্ছে ৪১ সেকশন বাহিনী। কুইক রেসপন্স টিমে থাকবে ১০ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর স্ট্রংরুম পাহারার দায়িত্বে থাকবে তিন সেকশন।
আলিপুরদুয়ারে মোতায়েন হচ্ছে ৩ কম্পানি বাহিনী। তার মধ্যে বুথে থাকবে ১৭ সেকশন, কুইক রেসপন্স টিমে ৮ সেকশন, স্ট্রং রুম পাহারার দায়িত্বে তিন সেকসন কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশের তরফে ৬৯ জন ইন্সপেক্টর কাজ করবেন ভোট সুরক্ষার। তবে সব বুথেই থাকছে সশস্ত্র পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া যে বুথগুলিতে ভোট হবে তাতে থাকবেন সশস্ত্র কনস্টেবলরা।
সিদ্ধিনাথ গুপ্তার পাঠানো নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে খবর। সূত্র জানাচ্ছে, সেই কারণেই তড়িঘড়ি অলোক কুমার রায়কে শুধুমাত্র কোচবিহার লোকসভার জন্য পুলিশ অবজ়ারভার করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। আগে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের জন্য একজন পুলিশ অবজ়ারভার নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি বিনোদ কুমার। ঠিক হয়েছে বিনোদ শুধুই আলিপুরদুয়ারের পুলিশ অবজ়ারভারের দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কথা বলে স্পেশাল পুলিশ অবজ়ারভার বিবেক দুবে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আজ দিল্লির নির্বাচন সদনে একটি বৈঠক করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বিবেক দুবে প্রথম দফার ভোট সহ গোটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে খবর। সূত্র জানাচ্ছে, প্রথম দফার নিরাপত্তার বিষয়টিতে তাঁর মতামত গুরুত্ব পাবে কমিশনের কাছে।