বোলপুর, 12 জুলাই : বিশ্বভারতীর উপাচার্য-সহ 6 আধিকারিক, কর্মীর নাম ও ছবি দিয়ে নিরুদ্দেশ ব্যানার বোলপুর শহর জুড়ে ৷ এমনকী, ব্যানারে লেখা আছে পৌষমেলার দোকানদারদের লুণ্ঠনকারী ও মহিলার শ্লীলতাহানিকারী ব্যক্তিদের সন্ধান দিলে পুরস্কৃত করা হবে । বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে এই ধরনের ব্যানার নিয়ে রীতিমত জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে ।
গত বছর পৌষমেলা তুলে দেওয়ার সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গণ্ডগোল হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের । ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কর্মী, আধিকারিক, নিরাপত্তারক্ষীরা মেলার দোকানিদের বলপূর্বক তুলে দেন । জিনিসপত্র লুটপাট করা হয় । এমনকী, উপাচার্য-সহ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল ।
যদিও, এই প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর ব্যাখ্যা ছিল, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী 4 দিন পর মেলা তুলে দেওয়ার কথা । সেই মত মেলার প্লট বুকিংয়ের সময়ে দোকানিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু, তারা সেই নির্দেশ পালন না করায় ভাঙামেলা তুলে দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিবাদ সে সময় চরমে ওঠে ।
আজ বোলপুর চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্বভারতীর 6 জন আধিকারিক, কর্মীর ছবি দিয়ে নিরুদ্দেশের ব্যানার লাগানো হয় । ব্যানারে ছবি দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, অ্যাকাউন্ট অফিসার সঞ্জয় ঘোষ, পাঠভবনের শিক্ষক কিশোর ভট্টাচার্য, শিক্ষাসত্রের শিক্ষক গৌতম সাহা, জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার ও কর্মী সুব্রত মণ্ডলের ছবি ও নাম দেওয়া হয় । লেখা হয়, "উপরিউক্ত বিশেষ ব্যক্তিবর্গ 2019 পৌষমেলার দোকানদারদের মাল লুণ্ঠনকারী ও মহিলা শ্লীলতাহানিকারী, যাহা বোলপুর আদালতে বিচারাধীন । মামলা নম্বর 14/2020, ধারা 354 B, 506, 323, 34 । এই ব্যক্তিবর্গ বর্তমানে নিরুদ্দেশ আছেন । যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি সন্ধান দিতে পারেন, তারজন্য তাহাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হবে।"
প্রসঙ্গত, সদ্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা করতে তারা অপারগ ও দোলের দিন হবে না বসন্তোৎসব । কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের পরেই এই পোস্টার । কে বা কারা এই এই ধরনের ব্যানার লাগালো তা নিয়ে রীতিমত জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে । যদিও, এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।