ETV Bharat / briefs

"ভিক্ষে নয় চাইছি ঋণ", রায়গঞ্জের জনসভায় বললেন মমতা - tmc suprimo

আজ উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে ও ইসলামপুরে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় মোদিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "ফ্যাসিবাদী সম্রাট মোদি। দুর্যোধন, দুঃশাসনদের মন্ত্রিসভা তাঁর। জওয়ান মেরে জওয়ান প্রেম। BJP শেম,শেম।"

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : Apr 9, 2019, 9:26 PM IST

রায়গঞ্জ, 9 এপ্রিল : "ভিক্ষে নয় চাইছি ঋণ, রায়গঞ্জে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন।" রায়গঞ্জের জনসভা থেকে আজ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের জন্য ভোট প্রার্থনা করলেন।

আজ রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় প্রায় হাজার দশেক মানুষের ভিড় হয়েছিল। সেখানে তিনি বলেন, "কংগ্রেস, CPI(M)-র প্রার্থীদের এখানকার মানুষ ভোট দিয়ে জয়ী করেছিলেন। তবে তারা মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জেতালে উন্নয়নের জোয়ার আসবে এলাকায়। আমি সবাইকে বলব এবার ভোটটা তৃণমূল কংগ্রেসকে দিন। কারণ লড়াইটা লড়তে হলে লড়ব, গড়তে হলে গড়ব। কিন্তু মোদিকে ছাড়ব না। BJP কে ছাড়ব না। এই লড়াইটা আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই। এই লড়াইয়ে সবাই মিলে শপথ নিন। মোদিবাবুকে বদলে দিন। দিল্লির সরকারটা পালটে দিন। BJP-কে বিদায় দিন। বাংলা আগামীদিন ভারত সরকার গঠন করবে। বাংলাই পথ দেখাবে। এই জায়গাটায় আসতে দিন।"

শুনুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

মমতা কড়া ভাষায় মোদিকে আক্রমণ করে বলেন, "গায়ের জোরে নির্বাচন জিততে চায় BJP। আমরা বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও আমরা ছাড়ব না। ফ্যাসিবাদী সম্রাট মোদি। দুর্যোধন, দুঃশাসনদের মন্ত্রিসভা তাঁর। জওয়ান মেরে জওয়ান প্রেম। BJP শেম,শেম। লড়তে হলে লড়ব। করতে হলে করব। মরতে হলে মরব কিন্তু BJP-কে আটকাব।"

সভায় বিভিন্ন কাজের খতিয়ান দিয়ে তিনি বলেন, "কৃষকবন্ধুরা সবাই টাকা পাবে। যারা এখনও নাম লেখাননি তাঁরা ইলেকশনের পরে করবেন। 100 দিনের কাজ আমরা আগামীদিন 200 দিন করার চেষ্টা করব। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। আমরা মেডিকেল কলেজ করে দিয়েছি। আমরা স্টেডিয়াম করে দিয়েছি। আমরা শিক্ষাশ্রী করেছি।"

আজ ভোর থেকেই রায়গঞ্জসহ উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। এই অবস্থাতেই সভা করেন তিনি। তারপর ইসলামপুরে যান।

রায়গঞ্জ, 9 এপ্রিল : "ভিক্ষে নয় চাইছি ঋণ, রায়গঞ্জে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন।" রায়গঞ্জের জনসভা থেকে আজ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের জন্য ভোট প্রার্থনা করলেন।

আজ রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় প্রায় হাজার দশেক মানুষের ভিড় হয়েছিল। সেখানে তিনি বলেন, "কংগ্রেস, CPI(M)-র প্রার্থীদের এখানকার মানুষ ভোট দিয়ে জয়ী করেছিলেন। তবে তারা মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জেতালে উন্নয়নের জোয়ার আসবে এলাকায়। আমি সবাইকে বলব এবার ভোটটা তৃণমূল কংগ্রেসকে দিন। কারণ লড়াইটা লড়তে হলে লড়ব, গড়তে হলে গড়ব। কিন্তু মোদিকে ছাড়ব না। BJP কে ছাড়ব না। এই লড়াইটা আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই। এই লড়াইয়ে সবাই মিলে শপথ নিন। মোদিবাবুকে বদলে দিন। দিল্লির সরকারটা পালটে দিন। BJP-কে বিদায় দিন। বাংলা আগামীদিন ভারত সরকার গঠন করবে। বাংলাই পথ দেখাবে। এই জায়গাটায় আসতে দিন।"

শুনুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

মমতা কড়া ভাষায় মোদিকে আক্রমণ করে বলেন, "গায়ের জোরে নির্বাচন জিততে চায় BJP। আমরা বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও আমরা ছাড়ব না। ফ্যাসিবাদী সম্রাট মোদি। দুর্যোধন, দুঃশাসনদের মন্ত্রিসভা তাঁর। জওয়ান মেরে জওয়ান প্রেম। BJP শেম,শেম। লড়তে হলে লড়ব। করতে হলে করব। মরতে হলে মরব কিন্তু BJP-কে আটকাব।"

সভায় বিভিন্ন কাজের খতিয়ান দিয়ে তিনি বলেন, "কৃষকবন্ধুরা সবাই টাকা পাবে। যারা এখনও নাম লেখাননি তাঁরা ইলেকশনের পরে করবেন। 100 দিনের কাজ আমরা আগামীদিন 200 দিন করার চেষ্টা করব। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। আমরা মেডিকেল কলেজ করে দিয়েছি। আমরা স্টেডিয়াম করে দিয়েছি। আমরা শিক্ষাশ্রী করেছি।"

আজ ভোর থেকেই রায়গঞ্জসহ উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। এই অবস্থাতেই সভা করেন তিনি। তারপর ইসলামপুরে যান।

Intro:রায়গঞ্জ,০৪ এপ্রিল:- সকাল থেকে দিনভর বামেদের শক্ত ঘাঁটি চাকুলিয়া বিধানসভার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রচার চালালেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। যদিও সারাদিনই হুড খোলা জিপে পাশে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিনের শেষে চাকুলিয়া বিধানসভা কে বামেদের শক্ত ঘাঁটি মানতে নারাজ প্রার্থী। তার মতে চাকুলিয়া বিধানসভার সহ রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের পুরোটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছে।

এদিন সকালে উত্তর দিনাজপুরের কানকি এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন প্রার্থী। প্রথমেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং দেবশ্রী চৌধুরী সেখানকার একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে জাতীয় সড়ক ধরে সূর্যাপুর এলাকায় প্রচারে যান তারা। হুডখোলা গাড়িতে প্রার্থী এবং রাজ্য সভাপতি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের উদ্দেশ্যে ভোট প্রার্থনা করেন। এরপর খানিকটা মেঠো পথ ধরে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ঢুকে যান তারা। তাহিরপুর শকুন্তলা রামপুর সমষপুর সহ চাকুলিয়া বিধানসভার প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামগুলিতে নিজের ভোট প্রচার সারেন তারা। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর গৃহবধূ সাধারণ পথচলতি মানুষ স্কুল কলেজ পড়ুয়ারা প্রার্থীর সঙ্গে সেলফি তোলার আবদারও করেন। সহজে তাদের আবদার মেটান দেবশ্রীদেবী। শকুন্তলা এলাকায় এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেন প্রার্থী। মেনুতে ছিল ভাত ডাল আলু ভাজা পোস্তর বড়া চাটনি দই মিষ্টি। এরপরই সেখান থেকে দাড়িভিট ধোলাই বস্তি এলাকায় ঢাকা জনসভায় যোগ দিতে জান প্রার্থী এবং বিজেপি সভাপতি।

এদিন ওই জনসভা কে নিয়ে সামান্য জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমতি দিয়ে দেওয়া হলেও পরবর্তীতে অনুমতি নিয়ে গরীব মুচি করছে প্রশাসন বলে অভিযোগ করেন দিলীপবাবু। যদিও সমস্ত সমস্যাকে দূর করে সভা পূর্বনির্ধারিত স্থলে হবেই বলেই জানান দিলীপ বাবু। এদিন সকালে প্রথমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন আমরা যা বাউন্সার দিচ্ছি তা আটকানোর ক্ষমতা দিদি বা তার অন্য কোন কর্মীর নেই। উনার বক্তব্য এখন কেউ শুনতে চান না। তাই আমাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। সেই বক্তব্যের রেশ টেনেই দাড়িভিট এর সভায় বলেন আমরা কোথাও সভা করতে চাইলেই পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমাদের আটকানোর প্রকাশ করা হয়। তবে মানুষ যেভাবে সমস্ত ভয় কে উপেক্ষা করে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে তাতে হতাশ মুখ্যমন্ত্রী। ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন উত্তর দিনাজপুর সহ সমস্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় যে পরিমাণ সন্ত্রাস মানুষ দেখেছে তাতে সেন্ট্রাল ফোর্স ছাড়া নির্বিবাদ নির্বাচন হবে আমরা বিশ্বাস করি না। এ কারণেই আমরা অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছি আশা করছি ভোটের আগেই তারা আসবে।

দিনভর প্রচার এর সঙ্গী হিসেবে রাজ্য সভাপতি কে পাশে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায় রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী মধ্যে। কখনো কোন ভুল হচ্ছে কিনা তা শুনে নেওয়া আবার কখনো রাজ্য সভাপতির পাশে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোতেই মন দিয়েছিলেন প্রার্থী। দিনের শেষ কর্মসূচি দাড়িভিট জনসভায় একদিকে যেমন রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছেন তিনি এ কিভাবে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে চাকুলিয়া বিধানসভা বিজেপির দখলে যাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। দিনের শেষে তিনি বলেন যেখানেই গিয়েছি প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। দিলীপ দার টাইট শিডিউল থাকা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও গাড়ি থেকে নামতে হয়েছে। যেখানে নেমেছি মানুষ ফুলের মালা ফুল ছিটিয়ে বরণ করেছে। কেউ কেউ আবার বুকে জড়িয়ে ধরেছে। বামেদের দুর্গ দুর্গ আর কিছুই থাকছে না সব জায়গায় মোদিজীর ভাবনার ভাবিত হয়েছে।

বাইট - দিলীপ ঘোষ

দেবশ্রী চৌধুরী

তারক চক্রবর্তী রায়গঞ্জ।


Body:হাসগস


Conclusion:জসগস
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.