কলকাতা, 7 জুলাই : যৌথ মঞ্চ গড়ার কাজ প্রায় শেষ। এখন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের প্রধান দুই বিরোধীদল কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের । আজ দুপুর তিনটের সময় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে বিড়লা তারামণ্ডল সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি একটি যৌথ মিছিলে অংশ নেবে । কেবলমাত্র CPI(M), RSP, CPI এবং ফরওয়ার্ড ব্লকই নয়, থাকবে মোট ১৬টি বামদল ।
মূলত কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে আজ পথে নামবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যসহ অন্য নেতা -কর্মীরা । উপস্থিত থাকবেন সব ক'টি বাম দলের নেতৃত্বরা ।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, আমফান পরবর্তী ত্রাণ বিলি নিয়ে শাসকদলের নেতা কর্মীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজ পথে নামবেন বিরোধীরা। কেবলমাত্র আমফান নয়, কোরোনা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা । কোরোন প্রতিষেধক নিয়ে যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার শিশুসুলভ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাতে মানুষের বিপদ বেড়ে যাবে। এরই প্রতিবাদে আজকের মহা মিছিল ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র জানিয়েছেন, এরাজ্যে "দিদিকে বলো"র মত একই পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে "দিলীপ দা-কে বলো।" এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে BJP এবং তৃণমূল একই পথের পথিক। এরা একে অপরের পরিপূরক। BJP যা করে, তৃণমূল তাই করে। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের দেখাদেখি BJPও একই কাজ করে । বাংলার মানুষ সব দেখছেন। কেন্দ্রীয় সরকার কোরোনা নিয়ন্ত্রণে কোনওরকম সুরক্ষা সরঞ্জাম দেয়নি চিকিৎসকদের। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা গোপন করেছে। অন্যদিকে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের তালিকা নিয়ে কারচুপি করেছেন। আগামীকাল প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস মিছিল করবে।