কলকাতা, 10 জুন: “দুশো কুড়ি জনেরও বেশি পুলিশকর্মীর কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমব্যাট ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমিশনার সহ 13 জন কনস্টেবল এবং ইন্সপেক্টরকে উত্তরবঙ্গে বদলি করেছেন। যেন সাধারণ কিছু দাবির জন্য কালাপানিতে পাঠানো হল পুলিশকর্মীদের। ভয়ঙ্কর !" ভারতীয় জনতা পার্টির IT সেলের প্রধান অমিত মালব্য এমনই একটি টুইট করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া কলকাতা পুলিশের । জানিয়ে দেওয়া হল, ফেক নিউজ ছড়ানো হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের তিনটি বিক্ষোভের ঘটনাতেই উঁচুতলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিচুতলার কর্মীরা। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে বিক্ষোভের ঘটনায় ক্ষোভ ছিল DC কমব্যাটের বিরুদ্ধে । অভিযোগ ওঠে, যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কন্টেইনমেন্ট জোনে ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে বাহিনীর জওয়ানদের। দেওয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, মাস্ক। গত 19 মে কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের একজন কোরোনায় আক্রান্ত হন। কোয়ারানটিন করা হয় 19 জনকে। বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীদের দাবি ছিল, তাদের কোয়ারানটিন করা হয়েছে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলেই(PTS)। আর এখান থেকেই দানা বাঁধতে শুরু করে অসন্তোষ। সঙ্গে যোগ হয় আরো বেশ কয়েকটি বিষয়। অভিযোগ, কোরোনা মোকাবিলায় কাজ করা পুলিশকর্মীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাচ্ছেন না। অনবরত কাজ করে চলা পুলিশকর্মীরা একদিনের জন্যও ছুটি পাননি লকডাউনের মাঝে। এ নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। যার বিস্ফোরণ হয় সেই রাতে। রীতিমতো লাঠি, বাঁশ হাতে পথে নেমে পড়েন তারা। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ DCর কাছে অভিযোগ জানাতে যান একদল পুলিশ কর্মী। তারপরেই শুরু হয় পুলিশ বিক্ষোভ। প্রায় 500 পুলিশকর্মী এরপর রাস্তায় নেমে পড়েন। অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা। বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীরা শারীরিক নিগ্রহ পর্যন্ত করেন DC কমব্যাটকে। এমনকি পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের অন্দরমহলে নাকি চালানো হয় ভাঙচুর। পরের দিনই নবান্ন যাওয়ার পথে সেখানে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনেন অভাব-অভিযোগ। আশ্বাস দেন ব্যবস্থা নেওয়ার।
এই ঘটনার পর সল্টলেক এবং গড়ফা থানায় বিক্ষোভ হয়। সল্টলেকের বিক্ষোভের জেরে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এক অ্যসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর সহ চার কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। সরিয়ে দেওয়া হয় একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে । তারপর গতকাল পুলিশ ডাইরেক্টর থেকে কলকাতা পুলিশের 13 জন কর্মীর বদলির নির্দেশিকা জারি হয়। তার মধ্যে 6 জন কমব্যাট ব্যাটেলিয়নের সদস্য। একজন কমব্যাট ব্যাটালিয়নের সদস্য হয়েও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপে কর্মরত ছিলেন। পাঁচজন প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের সদস্য। তারা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপে কাজ করতেন। আর একজন র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সে কর্মরত ছিলেন। এদের বদলি করা হয়েছে মূলত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি দার্জিলিং জেলায়। পাশাপাশি বদলি করা হলো ডেপুটি কমিশনার কেউ।
কিন্তু কেন এই বদলি? এ বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত কেউ মুখ খোলেননি। কিন্তু ঘটনার যোগসুত্র হিসেবে বিক্ষোভকে দেখিয়ে রীতিমতো কালাপানির কথা বলেছেন অমিত মালব্য। তারপরেই কলকাতা পুলিশের প্রতিক্রিয়া, “ ওই টুইট বার্তা সঠিক নয়। সত্য ঘটনাকে বিকৃত করা হয়েছে এই টুইটের মাধ্যমে।" যদিও আজ কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার সদর শুভঙ্কর সরকার বলেন, “ এখনও কলকাতা পুলিশের কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 232। এর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন। এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীনরা মোটের উপর প্রত্যেকেই ভালো আছেন।"
বিক্ষোভের জেরে বদলি ! BJPর টুইট-দাবি ওড়াল পুলিশ - BJP
বিক্ষোভের জেরে পুলিশকর্মীদের বদলি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গে । এমন অভিযোগ নিয়ে টুইট করেন BJP র IT সেলের প্রধান অমিত মালাব্য। তবে তার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের ।
কলকাতা, 10 জুন: “দুশো কুড়ি জনেরও বেশি পুলিশকর্মীর কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমব্যাট ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমিশনার সহ 13 জন কনস্টেবল এবং ইন্সপেক্টরকে উত্তরবঙ্গে বদলি করেছেন। যেন সাধারণ কিছু দাবির জন্য কালাপানিতে পাঠানো হল পুলিশকর্মীদের। ভয়ঙ্কর !" ভারতীয় জনতা পার্টির IT সেলের প্রধান অমিত মালব্য এমনই একটি টুইট করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া কলকাতা পুলিশের । জানিয়ে দেওয়া হল, ফেক নিউজ ছড়ানো হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের তিনটি বিক্ষোভের ঘটনাতেই উঁচুতলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিচুতলার কর্মীরা। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে বিক্ষোভের ঘটনায় ক্ষোভ ছিল DC কমব্যাটের বিরুদ্ধে । অভিযোগ ওঠে, যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কন্টেইনমেন্ট জোনে ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে বাহিনীর জওয়ানদের। দেওয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, মাস্ক। গত 19 মে কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের একজন কোরোনায় আক্রান্ত হন। কোয়ারানটিন করা হয় 19 জনকে। বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীদের দাবি ছিল, তাদের কোয়ারানটিন করা হয়েছে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলেই(PTS)। আর এখান থেকেই দানা বাঁধতে শুরু করে অসন্তোষ। সঙ্গে যোগ হয় আরো বেশ কয়েকটি বিষয়। অভিযোগ, কোরোনা মোকাবিলায় কাজ করা পুলিশকর্মীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাচ্ছেন না। অনবরত কাজ করে চলা পুলিশকর্মীরা একদিনের জন্যও ছুটি পাননি লকডাউনের মাঝে। এ নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। যার বিস্ফোরণ হয় সেই রাতে। রীতিমতো লাঠি, বাঁশ হাতে পথে নেমে পড়েন তারা। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ DCর কাছে অভিযোগ জানাতে যান একদল পুলিশ কর্মী। তারপরেই শুরু হয় পুলিশ বিক্ষোভ। প্রায় 500 পুলিশকর্মী এরপর রাস্তায় নেমে পড়েন। অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা। বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীরা শারীরিক নিগ্রহ পর্যন্ত করেন DC কমব্যাটকে। এমনকি পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের অন্দরমহলে নাকি চালানো হয় ভাঙচুর। পরের দিনই নবান্ন যাওয়ার পথে সেখানে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনেন অভাব-অভিযোগ। আশ্বাস দেন ব্যবস্থা নেওয়ার।
এই ঘটনার পর সল্টলেক এবং গড়ফা থানায় বিক্ষোভ হয়। সল্টলেকের বিক্ষোভের জেরে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এক অ্যসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর সহ চার কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। সরিয়ে দেওয়া হয় একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে । তারপর গতকাল পুলিশ ডাইরেক্টর থেকে কলকাতা পুলিশের 13 জন কর্মীর বদলির নির্দেশিকা জারি হয়। তার মধ্যে 6 জন কমব্যাট ব্যাটেলিয়নের সদস্য। একজন কমব্যাট ব্যাটালিয়নের সদস্য হয়েও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপে কর্মরত ছিলেন। পাঁচজন প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের সদস্য। তারা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপে কাজ করতেন। আর একজন র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সে কর্মরত ছিলেন। এদের বদলি করা হয়েছে মূলত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি দার্জিলিং জেলায়। পাশাপাশি বদলি করা হলো ডেপুটি কমিশনার কেউ।
কিন্তু কেন এই বদলি? এ বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত কেউ মুখ খোলেননি। কিন্তু ঘটনার যোগসুত্র হিসেবে বিক্ষোভকে দেখিয়ে রীতিমতো কালাপানির কথা বলেছেন অমিত মালব্য। তারপরেই কলকাতা পুলিশের প্রতিক্রিয়া, “ ওই টুইট বার্তা সঠিক নয়। সত্য ঘটনাকে বিকৃত করা হয়েছে এই টুইটের মাধ্যমে।" যদিও আজ কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার সদর শুভঙ্কর সরকার বলেন, “ এখনও কলকাতা পুলিশের কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 232। এর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন। এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীনরা মোটের উপর প্রত্যেকেই ভালো আছেন।"