মুম্বই, 6 ফেব্রুয়ারি : লতা-মান্না, লতা-মহম্মদ রফি, লতা-কিশোর আর লতা-হেমন্ত । হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুর আর লতা মঙ্গেশকরের গলায় গান ম্যাজিকাল । হেমন্ত মুখোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন, “একমাত্র কম্পোজার জানে কার গলায় কোন গান সুবিচার পাবে ।” তার প্রমাণ লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া তাঁর গানগুলি (Hemanta Mukherjee composition got Lata Mangeshkar voice the tune became magical) ।
এ প্রসঙ্গে প্রথমে মনে পড়ে 'কে যেন গো ডেকেছে আমায়' । 1965 সালের ‘মণিহার’ সিনেমার জন্য এই গানটি রচনা করেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় । গানটি লিখেছিলেন মুকুল দত্ত । এটা লতা-হেমন্ত জুটির অন্যতম বিখ্যাত গান ।
‘নিঝুম সন্ধ্যায়’ (Nijhum Sondhay) গান বাঙালিরা এখনও ভোলেননি । হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুর, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা আর গলা ? লতা মঙ্গেশকর । এই গানের জাদুতে বিভোর বর্তমান প্রজন্মও । এ গানটিও ‘মণিহার’ সিনেমার ।
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় আর লতা মঙ্গেশকর জুটির আরেকটি গান তো ইতিহাস, চিরন্তন । ‘চঞ্চল মন আনমনা হয়’ গানটিতে গলা দিয়েছিলেন লতা-হেমন্ত, দুই কিংবদন্তি । ‘অদ্বিতীয়া’ সিনেমার গান । সুন্দর গানে হারিয়ে গিয়েছিলেন সেই সময়ের প্রেমিক-প্রেমিকারা । আজ ? না কোনও সন্দেহ নেই, একবিংশ শতকের যে কোনও সুপারহিট গানকে পিছনে ফেলে আনমনা করে দেবে এ প্রজন্মকেও ।
সিনেমার জন্য গান গাওয়া ছাড়া অ্যালবামের জন্যও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে বহু গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর । এর মধ্যে একটি ‘ও পলাশ ও শিমূল’ । একই সুরে বিভিন্ন আবেগকে ধরেছেন সুরকার-গায়িকা । হেমন্তর মিষ্টি সুরে আর লতার গলায় এই গানটি এভারগ্রিন ।
1957 সাল । লতা মঙ্গেশকর গাইলেন ‘প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে’, সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় । যিনি জানতেন, কোন গান কার গলায় প্রাণ পাবে । আর তা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল । সুপারহিট হয়েছিল । হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে এমন বহু বহু জনপ্রিয় গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর । আজও সে সব চিরন্তন । বাংলা সঙ্গীত জগতকে অমূল্য উপহার দিয়েছেন এই জুটি । তাঁরা থাকুন, না থাকুন, তাঁদের সৃষ্টি রয়ে যাবে যুগ যুগ ধরে…‘যেই তার ছোঁয়া লাগে, ভোরের আকাশে আলো দেখে পাখি যেন জাগে…৷’ শুধু পাখি নয়, হেমন্ত-লতার গানে জেগে থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ৷
আরও পড়ুন : Lata Mangeshkar's duet songs with Mohammed Rafi: মধুর কণ্ঠের জাদুতে চিরঅমর লতা-রফি জুটির গান