দুর্গাপুর, 30 জুলাই: একই সাথে দুর্গাপুরের পাঁচটি স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ । ভারত সেবাশ্রম সংঘ দ্বারা পরিচালিত স্কুলের গেটে কয়েক ঘণ্টার জন্য তালা ঝুলিয়ে দিলেন অভিভাবকরা। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের সামনে পুলিশের সাথে অভিভাবকদের বচসাও হয়। সকাল থেকে প্রায় সারাদিন স্কুলের গেটে ধরনা অভিভাবকদের।
লকডাউন অব্যাহত। কোরোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস স্কুল কলেজ বন্ধ ।ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে । সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েও দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে ডেভলপমেন্ট ফিস সহ কম্পিউটার, ল্যাব ফিস চাওয়া হচ্ছে । অভিভাবকদের অভিযোগ,লকডাউনের কারণে বহু অভিভাবক কর্মচ্যুত। অনেকের আবার বেতনের বহু অংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে ।সেই কারণে তারা চাইছেন এই বছর অন্ততপক্ষে স্কুলগুলি অতিরিক্ত খাতের যে অর্থ আদায় তা বন্ধ করে দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলি তাদের নিজেদের অবস্থানে অনড় । আজ দুর্গাপুরের ভারত সেবাশ্রম সংঘ দ্বারা পরিচালিত একটি স্কুল সহ মোট পাঁচটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে সকাল থেকেই অভিভাবকরা বিক্ষোভ করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সাথে কোনও আলোচনা করতে নারাজ। আর সেই অভিযোগেই অভিভাবকরা ভারত সেবাশ্রম সংঘ দ্বারা পরিচালিত একটি স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন । সমস্ত স্কুলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছাতে হয় পুলিশকে । ভারত সেবাশ্রম সংঘ দ্বারা পরিচালিত যে স্কুলে অভিভাবকরা তালা ঝুলিয়ে ছিল সেই স্কুলে বিক্ষোভ পুলিশি মধ্যস্থতায় নিয়ন্ত্রণে এলেও । তার পাশেই দুর্গাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে দিনভর অভিভাবকদের বিক্ষোভ অব্যাহত। এই বেসরকারি স্কুলের গেটের বাইরে পুলিশের সাথে অভিভাবকদের একপ্রস্থ বচসাও বাঁধে। অভিভাবকদের আন্দোলনের কারণে স্কুলের ভেতরে আটকে থাকেন বেশ কিছু কর্মী। পুলিশ সেই কর্মীদেরকে বের করে দিতেই অভিভাবকদের সাথে পুলিশের বচসা বেঁধে যায়।
স্কুলগুলির সামনে আন্দোলনরত অভিভাবকদের অভিযোগ," আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চালালাম। কিন্তু কোনও সুফল পায়নি। জেলাশাসক থেকে মহকুমা শাসক সর্বস্তরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মৌখিকভাবে। তাই এবার আমরা যে কোনও আশ্বাসই লিখিত আকারে চাইছি।"