ETV Bharat / briefs

ছেড়ে গেছে পরিবার, শিলিগুড়ি হাসপাতালই ঠিকানা চার শিশু-বৃদ্ধের

শিলিগুড়ি হাসপাতালের মেল সার্জিকাল ওয়ার্ডে বিছানায় পড়ে রয়েছেন এক রোগী । তাঁর বাম পা ভাঙা । বেডেই দিন কাটাচ্ছেন । এই বেডের কিছুটা দূরেই মাটিতে প্লাস্টিক পেতে থাকছেন আর এক বৃদ্ধ । তাঁর পায়ে পচন ধরেছে । প্রথমজনকে আগেই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু, আত্মীয়রা আসেনি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও খোঁজ পায়নি । এই পরিস্থিতিতে গত ছ'মাস ধরে ওই বেডেই পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধ ।

হাসপাতালেই ঠিকানা দুই বৃদ্ধের
author img

By

Published : Jun 27, 2019, 12:53 PM IST

Updated : Jun 27, 2019, 1:02 PM IST

শিলিগুড়ি, 27 জুন : দুজনেই এখন বৃদ্ধ । পরিবার-পরিজন থেকেও নেই । তাই হাসপাতালই এখন তাঁদের ঠিকানা । বাড়ির লোক মুখ ঘুরিয়ে নিলেও তাড়িয়ে দিতে পারেনি শিলিগুড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । হাসপাতালের বেডই এখন তাঁদের বাসস্থান । একইভাবে এই হাসপাতালেই বেড়ে উঠছে দুই শিশু ।

শিলিগুড়ি হাসপাতালের মেল সার্জিকাল ওয়ার্ডে বিছানায় পড়ে রয়েছেন এক রোগী । তাঁর বাম পা ভাঙা । বেডেই দিন কাটাচ্ছেন । এই বেডের কিছুটা দূরেই মাটিতে প্লাস্টিক পেতে থাকছেন আর এক বৃদ্ধ । তাঁর পায়ে পচন ধরেছে । প্রথমজনকে আগেই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু, আত্মীয়রা আসেনি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও খোঁজ পায়নি । এই পরিস্থিতিতে গত ছ'মাস ধরে ওই বেডেই পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধ । দ্বিতীয় রোগীর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা । বাড়ির লোক দায় নিতে চায়নি । তাই হাসপাতালে রোগীকে ভরতি করার সময়ই ভুল ঠিকানা দিয়েছিল । ফলে সেই বৃদ্ধকেও আর বাড়ি ফেরাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

অন্যদিকে হাসপাতালের শিশুবিভাগে দিন কাটছে বছর দেড়েকের এক শিশুর । কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক কুমারী মা সন্তান প্রসবের পর বেপাত্তা হয়ে যায় । তারপর থেকেই হাসপাতালই ঠিকানা সেই শিশুর । নার্সরা ভালোবেসে নাম রেখেছেন ঋজু । সেও হাসপাতালের বেডেই বড় হচ্ছে ।

শুনুন হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার কৌশিক সিংহয়ের বক্তব্য

হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার কৌশিক সিংহ জানিয়েছেন, আরও তিনজন এভাবে বহুদিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন । অনেক চেষ্টার পর তাঁদের পরিবার-পরিজনদের খুঁজে পাওয়া যায় । রোগীদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । দুই বৃদ্ধকে নিয়ে বলেন, "যে দুই বৃদ্ধ আছেন তাঁরা ঠিক করে কিছুই বলতে পারেন না । তাদের নামও আমাদের জানা নেই । শিশুবিভাগে থাকা ঋজু ছাড়াও সিক নিয়নেটাল কেয়ার ইউনিটে এক সদ্যোজাত রয়েছে । শিশুদের ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করি CWC-র এর মাধ্যমে হোমে পৌঁছে দিতে । কিন্তু সেটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া । মানবিক কারণেই ওদের এখানে রেখে দিয়েছি ।"

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, "সত্যিই বেদনাদায়ক । শিশুবিভাগে থাকা শিশুটি বড় হচ্ছে । নার্সরা ওকে ভালোবাসে । ওদের সঙ্গেই খেলাধুলো করে । হাসপাতালের বেড ওর একটুকরো পৃথিবী । আরও এক শিশু ও দুই বৃদ্ধ আছেন । ওদের ঠিকানা নেই । আমরা চেষ্টা করছি ওদের হোমে পাঠিয়ে দেওয়ার ।"

শিলিগুড়ি, 27 জুন : দুজনেই এখন বৃদ্ধ । পরিবার-পরিজন থেকেও নেই । তাই হাসপাতালই এখন তাঁদের ঠিকানা । বাড়ির লোক মুখ ঘুরিয়ে নিলেও তাড়িয়ে দিতে পারেনি শিলিগুড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । হাসপাতালের বেডই এখন তাঁদের বাসস্থান । একইভাবে এই হাসপাতালেই বেড়ে উঠছে দুই শিশু ।

শিলিগুড়ি হাসপাতালের মেল সার্জিকাল ওয়ার্ডে বিছানায় পড়ে রয়েছেন এক রোগী । তাঁর বাম পা ভাঙা । বেডেই দিন কাটাচ্ছেন । এই বেডের কিছুটা দূরেই মাটিতে প্লাস্টিক পেতে থাকছেন আর এক বৃদ্ধ । তাঁর পায়ে পচন ধরেছে । প্রথমজনকে আগেই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু, আত্মীয়রা আসেনি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও খোঁজ পায়নি । এই পরিস্থিতিতে গত ছ'মাস ধরে ওই বেডেই পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধ । দ্বিতীয় রোগীর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা । বাড়ির লোক দায় নিতে চায়নি । তাই হাসপাতালে রোগীকে ভরতি করার সময়ই ভুল ঠিকানা দিয়েছিল । ফলে সেই বৃদ্ধকেও আর বাড়ি ফেরাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

অন্যদিকে হাসপাতালের শিশুবিভাগে দিন কাটছে বছর দেড়েকের এক শিশুর । কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক কুমারী মা সন্তান প্রসবের পর বেপাত্তা হয়ে যায় । তারপর থেকেই হাসপাতালই ঠিকানা সেই শিশুর । নার্সরা ভালোবেসে নাম রেখেছেন ঋজু । সেও হাসপাতালের বেডেই বড় হচ্ছে ।

শুনুন হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার কৌশিক সিংহয়ের বক্তব্য

হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার কৌশিক সিংহ জানিয়েছেন, আরও তিনজন এভাবে বহুদিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন । অনেক চেষ্টার পর তাঁদের পরিবার-পরিজনদের খুঁজে পাওয়া যায় । রোগীদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । দুই বৃদ্ধকে নিয়ে বলেন, "যে দুই বৃদ্ধ আছেন তাঁরা ঠিক করে কিছুই বলতে পারেন না । তাদের নামও আমাদের জানা নেই । শিশুবিভাগে থাকা ঋজু ছাড়াও সিক নিয়নেটাল কেয়ার ইউনিটে এক সদ্যোজাত রয়েছে । শিশুদের ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করি CWC-র এর মাধ্যমে হোমে পৌঁছে দিতে । কিন্তু সেটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া । মানবিক কারণেই ওদের এখানে রেখে দিয়েছি ।"

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, "সত্যিই বেদনাদায়ক । শিশুবিভাগে থাকা শিশুটি বড় হচ্ছে । নার্সরা ওকে ভালোবাসে । ওদের সঙ্গেই খেলাধুলো করে । হাসপাতালের বেড ওর একটুকরো পৃথিবী । আরও এক শিশু ও দুই বৃদ্ধ আছেন । ওদের ঠিকানা নেই । আমরা চেষ্টা করছি ওদের হোমে পাঠিয়ে দেওয়ার ।"

Intro:জীবনসায়াহ্নে হাসপাতালে দিন গুজরান দুই বৃদ্ধের, হাসপাতালেই শৈশব কাটছে দুই শিশুর

শিলিগুড়ি, 26 জুন: পরিজনেরা থেকেও নেই। জীবন সায়াহ্নে এসে দুই বৃদ্ধের দিন কাটছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। অন্যদিকে একই ভাবে শৈশব কাটাচ্ছে দুই শিশুসন্তান।

শিলিগুড়ি হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে বিছানায় পরে রয়েছেন এক রোগী। বা পা ভাঙা থাকায় বেড়েই দিন গুজরান। কিছুটা দূরেই বেড না মেলায় মাটিতে প্লাস্টিক পেতে রয়েছেন আরেক বৃদ্ধ। তার পায়ে পচন ধরেছে। এক জনকে আগেই মেডিকেল কলেজে রেফার করা হলেও আত্মীয়দের খোঁজ না মেলায় তিনি গত ছয় মাস ধরে রয়েছেন ওই বেড়েই। দ্বিতীয় রোগীর ক্ষেত্রেও ভুল ঠিকানা দিয়ে হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করিয়ে বেপাত্তা হয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা।

হাসপাতালের শিশু বিভাগে দিন কাটছে বছর দেড়েকের এক শিশুর। কর্তৃপক্ষের দাবি এক কুমারী মা সন্তান প্রসবের পর বেপাত্তা হওয়ার পর থেকেই হাসপাতালেই রয়েছে শিশুটি। নার্সরা ভালোবেসে নাম রেখেছেন রিজু। জানালার ধারে হাসপাতালের এক বেডে বড় হচ্ছে সে।

হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট সুপার কৌশিক সিংহের দাবি আরো তিনজন এভাবে বহুদিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন। বহু চেষ্টা করে তাদের পরিবারকে খুঁজে রোগীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরো যে দুই বৃদ্ধ আছেন তারা ঠিক করে কিছুই বলতে পারেন না। তাদের নামও আমাদের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। শিশুবিভাগে থাকা রিজু ছাড়াও সিক নিয়নেটাল কেয়ার ইউনিটে আরো এক সদ্যজাত রয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করি cwc এর মাধ্যমে হোমে পৌঁছে দিতে । কিন্তু এটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। মানবিক কারণেই ওদের আমাদের কাছে রেখে দিয়েছি। সমস্যাটা মানবিক।

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন সত্যিই বেদনাদায়ক। শিশুবিভাগে থাকা শিশুটি বড় হচ্ছে। নার্সদেরই নিজের পরিবার ভাবে। ওদের সংগেই খেলাধুলা করে। হাসপাতালের বেড ওর একটুকরো পৃথিবী। আরো এক শিশু এবং দুই বৃদ্ধ আছেন। এদের ঠিকানা নেই। আমরা চেষ্টা করছি হোমে এদের পাঠিয়ে দেওয়ার।


Body:.


Conclusion:
Last Updated : Jun 27, 2019, 1:02 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.