ETV Bharat / briefs

"আসন পর্যাপ্ত, একটি কলেজে না হলে অন্যটিতে চেষ্টা করুন", বললেন শিক্ষামন্ত্রী

author img

By

Published : Sep 15, 2020, 10:00 PM IST

"আসনের জন্য ভরতি হতে পারছে না সেটা ইশু নয় । ইশু হচ্ছে কতিপয় কলেজগুলিতে আমরা ভিড় করছি । সরকার বদ্ধপরিকর যে যাঁরা পাশ করেছেন তাদের প্রত্যেককেই যাতে আসন দেওয়া যায় । একটা কলেজে ফুরিয়ে গেছে তো অন্য কলেজে যান ।" বললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়
পার্থ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর : এবছর উচ্চমাধ্যমিক, CBSE, ISC, সব বোর্ড পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে সফল হয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা । কিন্তু, এত নম্বর পাওয়ায় কলেজে ভরতিতে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে সমস্যা । কাট অফ এতটাই বেড়ে গেছে যে কোনও বিষয়ে 95, 96 নম্বর পেয়েও ভরতি হতে পারছেন না পড়ুয়ারা । আজ এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, আসন যথেষ্ট আছে । সমস‍্যা পছন্দসই কলেজ নিয়ে । একটা কলেজে ভরতি হতে না পারলে অন‍্য কলেজে ভরতি হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি ।

কলেজে ভর্তি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "কোনও সমস্যাই হচ্ছে না । সমস‍্যা হচ্ছে, আমরা সবাই একটা কলেজে গিয়ে ভিড় করছি । আমাদের আসন সংখ্যা যথেষ্ট আছে । আসনের জন্য ভরতি হতে পারছে না সেটা ইশু নয় । ইশু হচ্ছে কতিপয় কলেজগুলিতে আমরা ভিড় করছি । এখন আবার ঝোঁক হচ্ছে কানেক্টিভিটিটা কোথায় ভালো সেই কলেজে ভরতি হব। আসন তো আছে । ভরতি হতে পারছে না এই কথাটা আপত্তিজনক । ভরতি করার জন্য যথেষ্ট আসন আমাদের কলেজগুলিতে আছে । কিন্তু, পছন্দসই কলেজগুলিতে আমরা নম্বরের ভিত্তিতে যেখানে আছি সেই প্রতিযোগিতায় থাকতে পারছি না । সেখানে তো আমার কিছু করণীয় নেই । সরকার বদ্ধপরিকর যে যাঁরা পাশ করেছেন তাদের প্রত্যেককেই যাতে আসন দেওয়া যায় । একটা কলেজে ফুরিয়ে গেছে তো অন্য কলেজে যান ।"

কেন্দ্রীয়ভাবে কলেজে ভরতি ব‍্যবস্থা হলে কি এই সমস্যার কোনও সমাধান হতে পারে ? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ইঞ্জিনিয়রিংয়ে ভরতি কেন্দ্রীয়ভাবে করানো হয় । কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না । তিনি বলেন, "আসনসংখ‍্যা অপ্রতুল নয় । আমরা সকল ছাত্র যাতে ভরতি হতে পারে তার ব‍্যবস্থা করেছি । তাঁরা চেষ্টা করছেন তাঁদের পছন্দসই কলেজে ভরতি হতে । সেই কলেজে ভর্তির জন্য ন‍্যূনতম যে মার্কস দরকার, তার মধ্যে তাঁরা আসতে পারছেন না বলেই সমস্যা হচ্ছে । এই বছর তো কোনও টাকা দেওয়ারও বিষয় নেই ‌। আর এই ব‍্যবস্থা যে করব, গ্রাম-গ্রামাঞ্চলে কি অনলাইনের সুবিধা আছে ? আমাদের প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে গেলে, তা পৌঁছানোটাও আমাদের কাছে জরুরি । আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে ভরতির বিরুদ্ধে নেই । কিন্তু, বিষয়টা তা নয়। জেলার সবথেকে ভালো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই পড়তে চায় । কেন্দ্রীয়ভাবে করলে কী সেখানে সবাই সুযোগ পাবে ।"

পাশাপাশি, ছাত্র-ছাত্রীদের পছন্দের কলেজেই ভরতি হওয়ার প্রবণতা নিয়ে তিনি বলেন, "আগে বিভিন্ন কলেজে সামগ্রিক উন্নয়নের অভাব ছিল । পর্যাপ্ত পরিমান শিক্ষক ছিলেন না ‌। এখন শিক্ষকের চাহিদা ছাত্রের অনুপাতে মেটানো গেছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে । সুতরাং, মানুষ একটা ধারনার উপর চলছে । আমায় সংস্কৃত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তে হবে । সামনে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেখানে যাচ্ছে না । এই যে একটা মাইন্ডসেট, তার সঙ্গে ভরতির কোনও সম্পর্ক নেই । যদি কেউ নম্বর থাকা সত্বেও না পান তাহলে আমাদের গ্রিভ‍্যান্স সেলে জানান ‌। আসন তো রয়েছে । অনেকে শুনলাম 96 পেয়েও পাচ্ছে না । তারমানে ওই কলেজে বেশি ভিড়।"

আজ বেহালা পশ্চিম বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত 42টি সরকারি এবং বেসরকারি বিদ‍্যালয়ের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় । ওই বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ‍্যোগে বেহালার শরৎ সদনে মাধ‍্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, CBSE ও CISCE-র বোর্ড পরীক্ষায় স্কুলের মধ্যে ভালো ফল করা ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় । অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কার্তিক মান্না। কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের একটি করে স্মার্টফোন, তিনটি বই ও ফুল-মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় । এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে নিজের বক্তব‍্যে আবারও জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের আপত্তির জায়গাগুলি তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । মূলত, ক্লাসিক ভাষাগুলির তালিকা থেকে বাংলা ভাষাকে বাদ দেওয়ার বিরোধিতা করেন তিনি । পাশাপাশি, দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকার বার্তাও এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দেন শিক্ষামন্ত্রী ।

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর : এবছর উচ্চমাধ্যমিক, CBSE, ISC, সব বোর্ড পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে সফল হয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা । কিন্তু, এত নম্বর পাওয়ায় কলেজে ভরতিতে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে সমস্যা । কাট অফ এতটাই বেড়ে গেছে যে কোনও বিষয়ে 95, 96 নম্বর পেয়েও ভরতি হতে পারছেন না পড়ুয়ারা । আজ এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, আসন যথেষ্ট আছে । সমস‍্যা পছন্দসই কলেজ নিয়ে । একটা কলেজে ভরতি হতে না পারলে অন‍্য কলেজে ভরতি হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি ।

কলেজে ভর্তি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "কোনও সমস্যাই হচ্ছে না । সমস‍্যা হচ্ছে, আমরা সবাই একটা কলেজে গিয়ে ভিড় করছি । আমাদের আসন সংখ্যা যথেষ্ট আছে । আসনের জন্য ভরতি হতে পারছে না সেটা ইশু নয় । ইশু হচ্ছে কতিপয় কলেজগুলিতে আমরা ভিড় করছি । এখন আবার ঝোঁক হচ্ছে কানেক্টিভিটিটা কোথায় ভালো সেই কলেজে ভরতি হব। আসন তো আছে । ভরতি হতে পারছে না এই কথাটা আপত্তিজনক । ভরতি করার জন্য যথেষ্ট আসন আমাদের কলেজগুলিতে আছে । কিন্তু, পছন্দসই কলেজগুলিতে আমরা নম্বরের ভিত্তিতে যেখানে আছি সেই প্রতিযোগিতায় থাকতে পারছি না । সেখানে তো আমার কিছু করণীয় নেই । সরকার বদ্ধপরিকর যে যাঁরা পাশ করেছেন তাদের প্রত্যেককেই যাতে আসন দেওয়া যায় । একটা কলেজে ফুরিয়ে গেছে তো অন্য কলেজে যান ।"

কেন্দ্রীয়ভাবে কলেজে ভরতি ব‍্যবস্থা হলে কি এই সমস্যার কোনও সমাধান হতে পারে ? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ইঞ্জিনিয়রিংয়ে ভরতি কেন্দ্রীয়ভাবে করানো হয় । কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না । তিনি বলেন, "আসনসংখ‍্যা অপ্রতুল নয় । আমরা সকল ছাত্র যাতে ভরতি হতে পারে তার ব‍্যবস্থা করেছি । তাঁরা চেষ্টা করছেন তাঁদের পছন্দসই কলেজে ভরতি হতে । সেই কলেজে ভর্তির জন্য ন‍্যূনতম যে মার্কস দরকার, তার মধ্যে তাঁরা আসতে পারছেন না বলেই সমস্যা হচ্ছে । এই বছর তো কোনও টাকা দেওয়ারও বিষয় নেই ‌। আর এই ব‍্যবস্থা যে করব, গ্রাম-গ্রামাঞ্চলে কি অনলাইনের সুবিধা আছে ? আমাদের প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে গেলে, তা পৌঁছানোটাও আমাদের কাছে জরুরি । আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে ভরতির বিরুদ্ধে নেই । কিন্তু, বিষয়টা তা নয়। জেলার সবথেকে ভালো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই পড়তে চায় । কেন্দ্রীয়ভাবে করলে কী সেখানে সবাই সুযোগ পাবে ।"

পাশাপাশি, ছাত্র-ছাত্রীদের পছন্দের কলেজেই ভরতি হওয়ার প্রবণতা নিয়ে তিনি বলেন, "আগে বিভিন্ন কলেজে সামগ্রিক উন্নয়নের অভাব ছিল । পর্যাপ্ত পরিমান শিক্ষক ছিলেন না ‌। এখন শিক্ষকের চাহিদা ছাত্রের অনুপাতে মেটানো গেছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে । সুতরাং, মানুষ একটা ধারনার উপর চলছে । আমায় সংস্কৃত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তে হবে । সামনে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেখানে যাচ্ছে না । এই যে একটা মাইন্ডসেট, তার সঙ্গে ভরতির কোনও সম্পর্ক নেই । যদি কেউ নম্বর থাকা সত্বেও না পান তাহলে আমাদের গ্রিভ‍্যান্স সেলে জানান ‌। আসন তো রয়েছে । অনেকে শুনলাম 96 পেয়েও পাচ্ছে না । তারমানে ওই কলেজে বেশি ভিড়।"

আজ বেহালা পশ্চিম বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত 42টি সরকারি এবং বেসরকারি বিদ‍্যালয়ের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় । ওই বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ‍্যোগে বেহালার শরৎ সদনে মাধ‍্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, CBSE ও CISCE-র বোর্ড পরীক্ষায় স্কুলের মধ্যে ভালো ফল করা ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় । অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কার্তিক মান্না। কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের একটি করে স্মার্টফোন, তিনটি বই ও ফুল-মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় । এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে নিজের বক্তব‍্যে আবারও জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের আপত্তির জায়গাগুলি তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । মূলত, ক্লাসিক ভাষাগুলির তালিকা থেকে বাংলা ভাষাকে বাদ দেওয়ার বিরোধিতা করেন তিনি । পাশাপাশি, দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকার বার্তাও এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দেন শিক্ষামন্ত্রী ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.