রায়গঞ্জ, 9 জুলাই : ডালখোলায় যানজট নতুন কিছু নয়। এর অন্যতম কারণ জাতীয় সড়কের বেহাল দশা, ট্রেন চলাচলের জন্য রেলগেট বারে বারে বন্ধ থাকা সেইসঙ্গে ভুট্টার বোঝাই গাড়ির লাইন। যার জেরে ডালখোলায় 34 নম্বর জাতীয় সড়কে নিত্যদিন যানজটে নাজেহাল সাধারণ মানুষ । ডালখোলা পৌরপ্রশাসনের তরফে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে সড়ক মেরামতের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে । স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বিহার থেকে আসা ভুট্টা বোঝাই ট্রাক্টরগুলিকে নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি । ফলে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের শিকার কলকাতা-শিলিগুড়িগামী যাত্রীরা।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম এই 34 নম্বর জাতীয় সড়ক। ডালখোলায় নতুন ফ্লাইওভারের কাজ আজও শেষ হয়নি। ফলে শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া 34 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই চলাচল করতে হয় রায়গঞ্জ, মালদা বা দক্ষিণবঙ্গ থেকে আসা পণ্যবাহী লরি ও অন্য যাত্রীবাহী গাড়িগুলিকে। ডালখোলা শহরের লাইফলাইন বলে পরিচিত এই জাতীয় সড়কেরও বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। যার জেরে মাঝেমধ্যেই জাতীয় সড়কের মাঝখানে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকছে। পাশাপাশি ডালখোলায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথের রেলগেট থাকায় দিনে 25 জোড়া ট্রেন চলাচল করে। যার জন্য দিনে বহুবার রেলগেট বন্ধ করতে হয়। ফলে জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটের তৈরি হয়। এছাড়াও ডালখোলা সংকীর্ণ সেতুর পাশে ভুট্টা ওজনের জন্য ওজন মাপার যন্ত্র থাকায় বিহার থেকে আশা ভুট্টা বোঝাই গাড়ি গুলি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
ডালখোলা পৌরসভার যুগ্ম প্রশাসক সুভাষ গোস্বামী জানিয়েছেন, বেহাল জাতীয় সড়ক মেরামতের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ও জেলা পুলিশ প্রশাসনকে যানজট সমস্যা সমাধানের জন্য বার বার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। ডালখোলায় যানজট নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।