ETV Bharat / briefs

বাদল অধিবেশনে চারটি বিলের বিরুদ্ধে সরব হবে কংগ্রেস - সংসদের বাদল অধিবেশন

সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের 11 টি অর্ডিন্যান্সের মধ্যে চারটির বিরোধীতা করার জন্য তৈরি কংগ্রেস শিবির ।

সংসদের বাদল অধিবেশন
সংসদের বাদল অধিবেশন
author img

By

Published : Sep 13, 2020, 7:53 PM IST

দিল্লি, 13 সেপ্টেম্বর : আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন । অধিবেশনে কেন্দ্রের 11 টি অর্ডিন্যান্সের মধ্যে চারটির বিরোধিতা করার জন্য তৈরি কংগ্রেস শিবির । ওঅ চারটি অর্ডিন্যান্সের মধ্যে তিনটিই রয়েছে কৃষি সংক্রান্ত ।

কংগ্রেসের সাংসদ ও রাজ্যসভার চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি এই চারটি অর্ডিন্যান্সের একজোটে বিরোধিতা করার পক্ষে রায় জানিয়েছেন । পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকেও কৃষি সংক্রান্ত এই অর্ডিন্যান্সগুলির বিরোধিতা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান তিনি । তাঁর কথায়, এই অর্ডিন্যান্সগুলি দেশের কৃষকদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে ।

আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে জয়রাম রমেশ বলেন, "কৃষি-প্রভাবশালী রাজ্যগুলির আয়ের উপর এই তিনটি অর্ডিন্যান্সের নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত পড়বে । বেসরকারী সংস্থাগুলি কর্পোরেট চাষ থেকে সুবিধা পাবে । MSP ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারি সংগ্রহ ব্যবস্থাও নির্মূল হয়ে যাবে । আমরা আমাদের খাদ্য সুরক্ষা স্তম্ভগুলিতে এই আক্রমণ হতে দেব না। "

জুনে মোদি সরকার যে তিনটি অর্ডিন্যান্স প্রবর্তন করেছিল, তার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের উৎপাদন বাণিজ্য (প্রমোশন ও ফেসিলিটেশন) অর্ডিন্যান্স, কৃষকদের (ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা) মূল্য আশ্বাস ও ফার্স সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্স, 2020 এবং সম্পর্কিত চুক্তি ও প্রয়োজনীয় পণ্য আইনে সংশোধন, 1955।

আরও পড়ুন : বিশ্বব্যাপী অবস্থান বাড়াতেই প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভর হচ্ছে ভারত : প্রধানমন্ত্রী

কংগ্রেস নেতা বলেন, "হরিয়ানা, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় ইতিমধ্যে এই অর্ডিন্যান্সগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে । কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ও হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন । পঞ্জাব বিধানসভা এই অর্ডিন্যান্সগুলির বিরোধী একটি প্রস্তাবও পাস করেছিল । " তিনি আরও বলেন, " এই অর্ডিন্যান্সগুলি চালু হলে খাদ্য সুরক্ষা স্তম্ভগুলি শেষ হয়ে হবে। শস্য মূল্যের পরিকাঠামোগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাছাড়া, কৃষি রাজ্যগুলির আওতাধীন হওয়া সত্বেও এবিষয়ে কেন্দ্র রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি । "

চতুর্থ যে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস আপত্তি তুলেছে, সেটি হল ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনের সংশোধন । এই অর্ডিন্যান্সের ফলে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করেছেন জয়রাম রমেশ । বলেছেন, “এটি রাষ্ট্র ও সংবিধানের পরিপন্থী ।”

আরও পড়ুন : বাণিজ্যিক সংস্কারমূলক কাজের পরিকল্পনায় পূর্ব ভারতে সেরা বাংলা

কংগ্রেস ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্টের যে দিকগুলি নিয়ে কংগ্রেস আপত্তি তুলতে চলেছে সেগুলি হল, সমবায় ব্যাঙ্কগুলি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নয় রাজ্য সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত । যদি অর্ডিন্যান্স আইন হয়ে যায় তবে সমস্ত মূল আর্থিক মধ্যস্থতাকারী কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসবে । অর্ডিন্যান্স কেন্দ্রকে সমবায় সদস্যপদ কাঠামো পরিবর্তন করার ক্ষমতা দেবে ।

দিল্লি, 13 সেপ্টেম্বর : আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন । অধিবেশনে কেন্দ্রের 11 টি অর্ডিন্যান্সের মধ্যে চারটির বিরোধিতা করার জন্য তৈরি কংগ্রেস শিবির । ওঅ চারটি অর্ডিন্যান্সের মধ্যে তিনটিই রয়েছে কৃষি সংক্রান্ত ।

কংগ্রেসের সাংসদ ও রাজ্যসভার চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি এই চারটি অর্ডিন্যান্সের একজোটে বিরোধিতা করার পক্ষে রায় জানিয়েছেন । পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকেও কৃষি সংক্রান্ত এই অর্ডিন্যান্সগুলির বিরোধিতা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান তিনি । তাঁর কথায়, এই অর্ডিন্যান্সগুলি দেশের কৃষকদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে ।

আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে জয়রাম রমেশ বলেন, "কৃষি-প্রভাবশালী রাজ্যগুলির আয়ের উপর এই তিনটি অর্ডিন্যান্সের নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত পড়বে । বেসরকারী সংস্থাগুলি কর্পোরেট চাষ থেকে সুবিধা পাবে । MSP ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারি সংগ্রহ ব্যবস্থাও নির্মূল হয়ে যাবে । আমরা আমাদের খাদ্য সুরক্ষা স্তম্ভগুলিতে এই আক্রমণ হতে দেব না। "

জুনে মোদি সরকার যে তিনটি অর্ডিন্যান্স প্রবর্তন করেছিল, তার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের উৎপাদন বাণিজ্য (প্রমোশন ও ফেসিলিটেশন) অর্ডিন্যান্স, কৃষকদের (ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা) মূল্য আশ্বাস ও ফার্স সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্স, 2020 এবং সম্পর্কিত চুক্তি ও প্রয়োজনীয় পণ্য আইনে সংশোধন, 1955।

আরও পড়ুন : বিশ্বব্যাপী অবস্থান বাড়াতেই প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভর হচ্ছে ভারত : প্রধানমন্ত্রী

কংগ্রেস নেতা বলেন, "হরিয়ানা, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় ইতিমধ্যে এই অর্ডিন্যান্সগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে । কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ও হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন । পঞ্জাব বিধানসভা এই অর্ডিন্যান্সগুলির বিরোধী একটি প্রস্তাবও পাস করেছিল । " তিনি আরও বলেন, " এই অর্ডিন্যান্সগুলি চালু হলে খাদ্য সুরক্ষা স্তম্ভগুলি শেষ হয়ে হবে। শস্য মূল্যের পরিকাঠামোগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাছাড়া, কৃষি রাজ্যগুলির আওতাধীন হওয়া সত্বেও এবিষয়ে কেন্দ্র রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি । "

চতুর্থ যে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস আপত্তি তুলেছে, সেটি হল ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনের সংশোধন । এই অর্ডিন্যান্সের ফলে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করেছেন জয়রাম রমেশ । বলেছেন, “এটি রাষ্ট্র ও সংবিধানের পরিপন্থী ।”

আরও পড়ুন : বাণিজ্যিক সংস্কারমূলক কাজের পরিকল্পনায় পূর্ব ভারতে সেরা বাংলা

কংগ্রেস ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্টের যে দিকগুলি নিয়ে কংগ্রেস আপত্তি তুলতে চলেছে সেগুলি হল, সমবায় ব্যাঙ্কগুলি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নয় রাজ্য সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত । যদি অর্ডিন্যান্স আইন হয়ে যায় তবে সমস্ত মূল আর্থিক মধ্যস্থতাকারী কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসবে । অর্ডিন্যান্স কেন্দ্রকে সমবায় সদস্যপদ কাঠামো পরিবর্তন করার ক্ষমতা দেবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.