বাঁকুড়া, 19জুন : লকডাউনের পঞ্চম দফায় শুরু হয়েছে বাস চলাচল, কিন্তু যাত্রী কোথায়? দীর্ঘ 80 দিন পর বাস চলাচল শুরু হলেও যাত্রী সংকটে ভুগছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন বাস রুটগুলি।
গত 8 জুন থেকে সরকারি নির্দেশিকা মেনে বেসরকারি বাস চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিনেই বাঁকুড়া জেলায় বিভিন্ন রুটে সবমিলিয়ে প্রায় 50 টি বাস চলাচল করে । ধীরে ধীরে প্রতিটি রুটেই বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়। বর্তমানে জেলায় প্রতিটি রুটেই এক -দুটি করে বাস চলাচল করছে। জেলায় প্রায় 90 টি বাস রাস্তায় নামিয়েছেন বলে জানান বাস মালিকরা।
চার দফা লকডাউনের পর বাস পরিষেবা শুরু করা হলেও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখিত শুধুমাত্র সিট অনুযায়ী যাত্রী নেওয়ার নির্দেশ এক প্রকার অক্ষরে অক্ষরে পালন হচ্ছে, কারণ অধিকাংশ বাসেই সমস্ত সিট ভরতি হচ্ছে না। এই অবস্থায় বাঁকুড়া জেলার সদর শহর থেকে 50 কিংবা 60 কিলোমিটার দূরে সারা দিনে দুবার যাতায়াত করার পর বাসের জ্বালানির খরচ পর্যন্ত উঠছে না বলে অভিযোগ বাস মালিকদের।
পাশাপাশি, বিগত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই লিটার প্রতি ডিজ়েলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় বাস চালানো, কর্মচারীদের বেতন দেওয়া এবং জ্বালানি খরচ মেটানো অসম্ভব হয়ে উঠছে বলে বাঁকুড়া জেলা বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে । এইভাবে চলতে থাকলে দীর্ঘদিন ক্ষতির মুখে পড়ে তাদের পক্ষে ভবিষ্যতে বাস চালানো সম্ভব হবে না বলেও সংগঠনের তরফে জানানো হয়।
জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বাস মালিকদের যে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে, তা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক অসীম বিশ্বাস বাস মালিকদের আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, "পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তাই আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা প্রয়োজন। "
বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন রুটে প্রায় 400 টি বাস চলাচল করে। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বাস চলাচল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বাস মালিক থেকে শুরু করে কর্মচারীদের যথেষ্ট আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ফের বাস চলাচল শুরু হলেও সেই আর্থিক দোটানা না কাটায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে বাঁকুড়ার বাস সংগঠন।