রায়গঞ্জ, 20 এপ্রিল : ভোটের পরেও চোপড়ায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ অব্যাহত । আজ তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দয়ারামগছ এলাকা । দুই দলের সমর্থকরা একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। বোমাবাজিও হয় । তার জেরে ক্লাস সিক্সের এক ছাত্র সহ কমপক্ষে 6 জন জখম হন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয় ।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় চোপড়ায় ভোটগ্রহণ হয় । ভোটের পর থেকেই চোপড়ার একাধিক এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয় । গতরাতেও দয়ারামগছ এলাকায় একপ্রস্থ সংঘর্ষ হয় । আজ সকালে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও কংগ্রেস । এলাকায় ইটবৃষ্টি শুরু হয় । বোমাবাজিও করা হয় । অভিযোগ, এক কংগ্রেস সমর্থকের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। ইটের আঘাতে আবদুল কালাম নামে ছাত্র ও এক মহিলা সহ কমপক্ষে 6 জন জখম হয়েছে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে চোপড়া থানার পুলিশ । এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে ।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মহম্মদ মসিরুদ্দিন বলেন, "গতকাল থেকেই তৃণমূলের লোকজন এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছে । আমাদের সমর্থক এক শিক্ষকের বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় । বাড়ির পিছনে বোমাবাজি করেছে । তাঁর বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয় । পুলিশের সামনেই তৃণমূল কর্মীরা হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল । ইট ছোড়া হয় । আমাদের উপরও হামলা চালানো হয় । তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটে রিগিং করেছিল । এবার করতে দিইনি বলে হামলা চালানো হচ্ছে ।" যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে । ঘিরনিগাঁও গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তজিমুল হক বলেন, "বিরোধী আশ্রিত দৃষ্কৃতীরা আমাদের উপর হামলা চালায় । আমাদের বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়েছে । বিরোধীরা বুঝে গেছে, তৃণমূল জিতবে । তাই হামলা চালাচ্ছে ।"