কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর : দু'টি পৃথক ঘটনা । একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল শ্যামপুকুর থানায়। অন্যটি লেদার কমপ্লেক্স থানায় । মোট প্রতারণা প্রায় 11 লাখ টাকার । দু'টি ঘটনারই কিনারা করল পুলিশ । সাইবার প্রতারণার এই দু'টি ঘটনায় জামতারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মোট সাতজনকে । তারা জামতারা গ্যাংয়ের সদস্য ।
পুলিশ সূত্রে খবর, 10 জুন লেদার কমপ্লেক্স থানায় সঞ্জীব পাউল বাংলা কমপ্লেক্সের বাসিন্দা প্রত্যুষা সিনহা বসুমল্লিক অভিযোগ দায়ের করেন । তিনি জানান, কোনও ব্যক্তি ফোন করে তাঁর অ্যাকাউন্টের তথ্য জেনে নিয়েছে । তিনি ব্যাঙ্ক অফিসার ভেবে ভুল করেছেন । ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দিয়েছেন । তারপরেই তাঁর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেছে ছয় লাখ টাকা ।
অন্যদিকে 17 জুলাই উত্তর 24 পরগনার ইস্ট বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা রুমা মজুমদার অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামপুর থানায় । স্টেট ব্যাঙ্কের শ্যামবাজার শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে । কেউ তাঁকে ফোন করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফিসার পরিচয় দেয় । অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায় । তিনি বিশ্বাস করে সেই তথ্য দিয়ে দেন । এরপরেই উধাও হয়ে যায় 4 লাখ 63 হাজার টাকা ।
যদিও প্রথম ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ 1.5 লাখ টাকা ব্লক করে দিতে সমর্থ হয়েছিল । দ্বিতীয় ঘটনায় ব্লক করা হয় এক লাখ টাকা । শুরু হয় তদন্ত । জানা যায়, জামতারা গ্যাংয়ের সাত সদস্য জড়িয়ে আছে এই ঘটনায় ।
গতকাল সাধন দান এবং নির্মল দানসহ সাত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তাদের কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
প্রতারণা যেন কুটির শিল্প । পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের জামতারা হয়ে উঠেছে গোটা ভারতের মাথা ব্যথার কারণ । গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সেখানে রীতিমতো কর্পোরেট কায়দায় খোলা হয়েছে অফিস । তৈরি হয়েছে নানা ভাষার ডেস্ক । ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের যুবক-যুবতিদের রীতিমতো চাকরি দেওয়া হয়েছে সেখানে । তাদের কাজ, বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় টার্গেটের সঙ্গে কথা বলা । সেখানে বেশ কয়েকটি গ্রামে চলছে সেই কাজ । প্রতারণার জন্য তারা বের করে নতুন নতুন সব ফন্দি-ফিকির । শত ধরপাকড়েও দমানো যাচ্ছে না তাদের ।