সন্দেশখালি, 8 জুন : এক যুবককে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা । তিনি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত । সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার হাটগাছি এলাকার ঘটনা । মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম কায়ুম মোল্লা (24) । তৃণমূলের অভিযোগ, BJP-র লোকজন তাঁকে খুন করেছে । অপরদিকে BJP-র পালটা অভিযোগ, তাঁদের তিনজন কর্মীকে খুন করা হয়েছে । নাম সুকান্ত মণ্ডল, প্রদীপ মণ্ডল ও তপন মণ্ডল । যদিও পুলিশ সূত্রে দু'জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । BJP-র অভিযোগ, ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ররোচনায় হয়েছে । আর তাতে একশ্রেণীর মদত দিয়েছেন এক শ্রেণীর পুলিশ ।
লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই এলাকায় তৃণমূল ও BJP-র মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল । আজ সন্ধ্যায় হাটগাছি গ্রামে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ শুরু হয় । এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হাটগাছিতে মিছিল করা হয় । সেই প্রতিবাদ মিছিল থেকে বাড়ি ফেরার পথেই কায়ুম মোল্লাকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয়েছে । তৃণমূলের অভিযোগ, BJP-র দুষ্কৃতীরাই এই খুন করেছে ।
এবিষয়ে BJP নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, "তিনদিন আগে সাংসদদের প্রতিনিধি দল এলাকায় গেছিল । এই কারণে এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানো হয়েছিল । আজ হাটগাছি বাজারে তৃণমূলের কর্মীরা সেই পতাকাগুলি ছিঁড়ে ফেলে । BJP-র কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের লোকজন গুলি চালায় । গুলিতে BJP-র তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে । তৃণমূলের গুলির সামনে পড়েই কায়ুম মোল্লা মারা গেছে ।" BJP-র দাবি, সুকান্ত ও দলের তপশিলি মোর্চার মণ্ডল সভাপতি প্রদীপের চোখে গুলি করা হয়েছে । অপরদিকে, শক্তি কেন্দ্রের প্রধান তপনের মাথায় গুলি করা হয়েছে । ঘটনায় তাদের আরও পাঁচ কর্মী জখম হয়েছে । তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক । এছাড়াও চারজন এখনও নিঁখোজ । এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন মুকুল রায় । রাজ্যে আইশৃঙখলার অবনতির অভিযোগ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : রণক্ষেত্র সন্দেশখালিতে মৃত 4 রাজনৈতিক কর্মী; "মমতাই দায়ি", বললেন মুকুল
ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "সন্দেশখালিতে আমাদের সভা ছিল । সেখানে BJP-র দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় । কায়ুম মোল্লা নামে আমাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে । 18 জন জখম । তারমধ্যে ছ'জন মহিলাও রয়েছেন ।"