ETV Bharat / bharat

ইনফ্রা- ডেভেলপমেন্টের আরও একটি ব্যাঙ্ক - Union Finance Minister Smt. Nirmala Sitaraman

এড়ানো সম্ভব নয়, এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার আরও একবার একটি উন্নয়নমুখী ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন । এই ধরনের প্রতিষ্ঠান বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । কিন্তু আবারও মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে ডেভলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন (DFI) প্রতিষ্ঠার জন্য, যা নিয়ে দাবি করা হচ্ছে যে সেটি না কি পরিকাঠামো রূপায়ণ এবং বাজে ঋণভার মেটাতে সহায়ক হবে ।

Yet another bank for Infra development
Yet another bank for Infra development
author img

By

Published : Mar 25, 2021, 11:01 AM IST

বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন উল্লেখ করেছিলেন যে, একটি DFI প্রতিষ্ঠা করা কতটা প্রয়োজন এবং প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়ে যায় । ক্যাবিনেটের অনুমোদিত বিলে দাবি যে DFI, কোভিড সংকটের প্রভাবে দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতির বুকে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে । প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল 10 বছরের কর বিরতি দেওয়া হবে DFI-তে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে, তার ইনসেনটিভ হিসাবে । কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই উদ্যোগের ফলে 7671টি পরিকাঠামোমূলক প্রকল্পে লগ্নি হিসাবে 111 লক্ষ কোটি টাকার প্রবাহ ঘটবে । চিন, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং জার্মানির মতো দেশের আর্থিক পরিস্থিতির পুনরুজ্জীবনে সংশ্লিষ্ট ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কগুলি বড় ভূমিকা নিয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে এই ধরনের ব্যাঙ্ক ভারতেও সমস্ত জটিলতা এবং চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে ।

ভারতে DFI-র যুগ শেষের মুখে এসে পড়েছিল 1964 সালের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইনের বাতিল হওয়ার জেরে । নয়া প্রস্তাবিত ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সাফল্য, অতীতের সমস্ত ভুল এবং তিক্ত অভিজ্ঞতা দূর করা এবং তার থেকে নেওয়া শিক্ষার উপর নির্ভর করবে ।

ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক যে বৃহৎ শিল্পায়নের গতি বৃদ্ধিতে সক্ষম, সেই বোঝাপড়ার সূত্রপাত আমাদের দেশে হয়েছিল বহু আগে । তারই ফলে জাতীয় স্তরে IFCI (1948), ICICI (1955), IDBI (1964) এবং রাজ্যস্তরে SFC ও SIDC-র অস্তিত্ত্ব ঘটে । এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলতে পারেনি কারণ সরকার ছিল তাদের প্রধান আর্থিক উৎস । রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কার্যক্রমে তাদের অবস্থার অধঃপতন ঘটায় । তাদের লাভ করার ক্ষমতা এবং উন্নতি গুরুতরভাবে বাধার মুখে পড়েছিল দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মসূচিমূলক সিদ্ধান্তের জেরে । তাদের জমা NPA-সমূহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় তাদের বাজে ঋণের সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল ।

আরও পড়ুন : জয়বায়ু পরিবর্তন: চতুর্থ ‘কল ফর কোড’ চ্যালেঞ্জ শুরু করল আইবিএম

দীর্ঘমেয়াদি ঋণ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে বিতরণ সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশ মানায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক ব্যাঙ্কগুলির রাজত্ব শেষ হয় । তারপর প্রভূত সংস্কার সাধনও করা হয় । ICICI-র মতো প্রতিষ্ঠান নিজেদের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত করে ফেলে ।

এরপর আরও কিছু একই ধরনের ব্যাঙ্ক একত্রিত হয়ে কংগ্লোমারেট তৈরি করে, যারা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে শুরু করে । যদিও জমি অধিগ্রহণে দেরির কারণে এই পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানগুলি বাধার মুখে পড়ে । তাদের NPA অনেকটাই বেড়ে যায় ।

DFI নির্মাণের প্রস্তাব ফের ভেসে ওঠে, যার সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছিল, দেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের পরিস্থিতির উন্নতিসাধন ।

এই বিলে ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের নেওয়া কোনও সিন্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনও নিয়ম নেই । যারা এই সিদ্ধান্ত নেবেন, তাদের কোনওভাবে প্রশ্ন করা যাবে না বলেও এই বিলের অভিমত । এর দাবি, এটি DFI-কে এই বিষয়ে অপ্রাপ্যতা দিতে সক্ষম ।

কেন্দ্রের উচিত, এটা মাথায় রাখা যে অতীতে ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক সাফল্য পায়নি কারণ ঋণ দানের ক্ষেত্রে এগুলি নির্বিচারে পক্ষপাতদুষ্টতা দেখিয়ে এসেছে । তবে যে উদ্যোগের আওতায় প্রতিটি পদক্ষেপে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার সুনিশ্চিত করা যাবে, তা ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কগুলিকে প্রকৃত উন্নয়নশীল প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিপুল আর্থিক মদতদাতা হিসাবে পরিচিতি দেবে ।

বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন উল্লেখ করেছিলেন যে, একটি DFI প্রতিষ্ঠা করা কতটা প্রয়োজন এবং প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়ে যায় । ক্যাবিনেটের অনুমোদিত বিলে দাবি যে DFI, কোভিড সংকটের প্রভাবে দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতির বুকে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে । প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল 10 বছরের কর বিরতি দেওয়া হবে DFI-তে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে, তার ইনসেনটিভ হিসাবে । কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই উদ্যোগের ফলে 7671টি পরিকাঠামোমূলক প্রকল্পে লগ্নি হিসাবে 111 লক্ষ কোটি টাকার প্রবাহ ঘটবে । চিন, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং জার্মানির মতো দেশের আর্থিক পরিস্থিতির পুনরুজ্জীবনে সংশ্লিষ্ট ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কগুলি বড় ভূমিকা নিয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে এই ধরনের ব্যাঙ্ক ভারতেও সমস্ত জটিলতা এবং চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে ।

ভারতে DFI-র যুগ শেষের মুখে এসে পড়েছিল 1964 সালের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইনের বাতিল হওয়ার জেরে । নয়া প্রস্তাবিত ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সাফল্য, অতীতের সমস্ত ভুল এবং তিক্ত অভিজ্ঞতা দূর করা এবং তার থেকে নেওয়া শিক্ষার উপর নির্ভর করবে ।

ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক যে বৃহৎ শিল্পায়নের গতি বৃদ্ধিতে সক্ষম, সেই বোঝাপড়ার সূত্রপাত আমাদের দেশে হয়েছিল বহু আগে । তারই ফলে জাতীয় স্তরে IFCI (1948), ICICI (1955), IDBI (1964) এবং রাজ্যস্তরে SFC ও SIDC-র অস্তিত্ত্ব ঘটে । এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলতে পারেনি কারণ সরকার ছিল তাদের প্রধান আর্থিক উৎস । রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কার্যক্রমে তাদের অবস্থার অধঃপতন ঘটায় । তাদের লাভ করার ক্ষমতা এবং উন্নতি গুরুতরভাবে বাধার মুখে পড়েছিল দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মসূচিমূলক সিদ্ধান্তের জেরে । তাদের জমা NPA-সমূহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় তাদের বাজে ঋণের সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল ।

আরও পড়ুন : জয়বায়ু পরিবর্তন: চতুর্থ ‘কল ফর কোড’ চ্যালেঞ্জ শুরু করল আইবিএম

দীর্ঘমেয়াদি ঋণ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে বিতরণ সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশ মানায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক ব্যাঙ্কগুলির রাজত্ব শেষ হয় । তারপর প্রভূত সংস্কার সাধনও করা হয় । ICICI-র মতো প্রতিষ্ঠান নিজেদের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত করে ফেলে ।

এরপর আরও কিছু একই ধরনের ব্যাঙ্ক একত্রিত হয়ে কংগ্লোমারেট তৈরি করে, যারা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে শুরু করে । যদিও জমি অধিগ্রহণে দেরির কারণে এই পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানগুলি বাধার মুখে পড়ে । তাদের NPA অনেকটাই বেড়ে যায় ।

DFI নির্মাণের প্রস্তাব ফের ভেসে ওঠে, যার সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছিল, দেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের পরিস্থিতির উন্নতিসাধন ।

এই বিলে ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের নেওয়া কোনও সিন্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনও নিয়ম নেই । যারা এই সিদ্ধান্ত নেবেন, তাদের কোনওভাবে প্রশ্ন করা যাবে না বলেও এই বিলের অভিমত । এর দাবি, এটি DFI-কে এই বিষয়ে অপ্রাপ্যতা দিতে সক্ষম ।

কেন্দ্রের উচিত, এটা মাথায় রাখা যে অতীতে ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক সাফল্য পায়নি কারণ ঋণ দানের ক্ষেত্রে এগুলি নির্বিচারে পক্ষপাতদুষ্টতা দেখিয়ে এসেছে । তবে যে উদ্যোগের আওতায় প্রতিটি পদক্ষেপে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার সুনিশ্চিত করা যাবে, তা ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কগুলিকে প্রকৃত উন্নয়নশীল প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিপুল আর্থিক মদতদাতা হিসাবে পরিচিতি দেবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.