রেওয়ারি (হরিয়ানা), 28 নভেম্বর: গলায় টাকার মালা, ঘোড়ায় চড়িয়ে মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছেন বাবা ৷ এভাবেই বিয়ের আগে হওয়া অনুষ্ঠান তথা বানওয়ারা সারলেন বাবা ৷ যে হরিয়ানায় বেশিরভাগ এলাকা খাপ পঞ্চায়েতে মোড়া ৷ যে রাজ্যের অধিকাংশ গ্রামে নারী-পুরুষ সমানাধিকার মুখ ঢাকে রক্ষণশীলতায়, সেই হরিয়ানাতেই এভাবে মেয়ের 'বানওয়ারা' নিয়ে যাওয়ায় কিছুটা অবাক গ্রামের লোকজন ৷ তবে এই অনুষ্ঠানে সামিলও হয়েছেন প্রতিবেশীদের একাংশও ৷ পরিবর্তন যে নিজের বাড়ি থেকেই শুরু করতে হয় তা করে দেখালেন হরিয়ানার ধরমপাল ৷
সমাজ পরিবর্তন করতে 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্পের প্রচারের জন্য এমনই অভিনব উপায় অবলম্বন করেছেন হরিয়ানার রেওয়ারির সুভাষ বস্তির বাসিন্দা ধরমপাল সারওয়ান ৷ তাঁর বড় মেয়ে জ্যোতিকে ঘোড়ায় চড়িয়ে 'বানওয়ারা' নিয়ে গেলেন তিনি ৷ যাতে সাধারণ মানুষ মেয়েদের গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং নিজেদের মনের মধ্যে পোষণ করা ধারণা পরিবর্তন করতে পারে ৷
জ্যোতি একটি ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছিলেন ৷ তাঁর গলায় ছিল টাকার মালা ৷ খুব ধুমধাম করে অনুষ্ঠানটি পালন করা হয় ৷ বাবার এই ধরনের কাজে আনন্দিত জ্যোতি ৷ তাঁর কথায়,"মেয়েরা ছেলেদের থেকে কম নয় ৷ আজ আমার বাবাও তা প্রমাণ করলেন ৷ আমি একজন স্নাতকোত্তীর্ণ শিক্ষক ৷ তাই আমি সমাজ বার্তা দিতে চাই যে আজ ছেলেমেয়ের মধ্যে কোনও বৈষম্য নেই ৷ আমি আমার বাবা-মায়ের জন্য গর্বিত ৷"
একইসঙ্গে জ্যোতির বাবা ধরমপাল বলেন, "ছেলেদের মতো সমাজে মেয়েদেরও সমান সম্মান পাওয়া উচিত ৷ মেয়েদের প্রতি কোনও ধরনের বৈষম্য বা বিভেদ করা চলবে না ৷ এই বিষয়টি মাথায় রেখেই মেয়ের 'বানওয়ারা' খুব ধুমধাম করে পালন করলাম ৷"
এই 'বানওয়ারা' দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ ৷ তবে জ্যোতি ও তার পরিবার চায় সকলের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটুক ৷ ছেলেদের মতো সমান কদর করুক মেয়েদেরও ৷
আরও পড়ুন :
1 মামি-ভাগ্নে সম্পর্ক, জনসমক্ষে নগ্ন হয়ে স্নানের নিদান !
2 প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে হরিয়ানা, প্রেমিক চম্পট দিতেই মা'কে ফোন নাবালিকার
3 কুকুর কামড়ালে মিলবে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ, নির্দেশ হাইকোর্টের