ভুবনেশ্বর, 7 জুন: বালাসোরে রেল দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ অনেকে ৷ অনেক মৃতদেহ এখনও পর্যন্ত সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ৷ স্বজনের খোঁজে অনেক পরিবার এখনও দিশেহারা ৷ এই পরিস্থিতিতেও দুর্ঘটনাকে হাতিয়ার সরকারি আর্থিক সাহায্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ সামনে এসেছে ৷
ওড়িশার এই রেল দুর্ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এছাড়া ওড়িশা সরকারও সাহায্যের ঘোষণা করেছে ৷ সেই টাকা পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গীতাঞ্জলি দত্ত নামে এক মহিলা ৷ তিনি কটকের মানিয়াবান্দা এলাকার প্রশাসনের কাছে তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী 2 জুন সন্ধ্যায় হওয়া ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ৷ একটি মৃতদেহ দেখে তা স্বামীর বলে তিনি সনাক্ত করেন ৷
কিন্তু নথিপত্র যাচাই করতে গিয়ে প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি ৷ তখন ওই মহিলাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে ৷ কিন্তু বিষয়টি চলে যায় গীতাঞ্জলির স্বামী বিজয় দত্তর কাছে ৷ তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁর দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই ৷ গত 13 বছর ধরে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন না ৷
গীতাঞ্জলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিজয় ৷ তিনি বালাসোরের বাহানাগা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তাঁর ভুয়ো মৃত্যুর খবর ছড়ানো ও সরকারি টাকা অনৈতিকভাবে হস্তগত করার অভিযোগই তিনি দায়ের করেছেন ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ পরিস্থিতি এমনই যে গ্রেফতারি এড়াতে আপাতত গা ঢাকা দিয়েছেন গীতাঞ্জলি দত্ত ৷ বিষয়টি পৌঁছেছে প্রশাসনের উচ্চস্তরেও ৷ ওড়িশার মুখ্যসচিব পিকে জেনা রেল ও ওড়িশা পুলিশকে এই ধরনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে রেলের তরফে এককালীন 10 লক্ষ টাকা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে 2 লক্ষ টাকা ও ওড়িশা সরকারের তরফে 5 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে ৷ সব মিলিয়ে যার পরিমাণ 17 লক্ষ টাকা ৷ অভিযোগ, স্বামী বিজয় দত্তকে মৃত দেখিয়ে এই 17 লক্ষ টাকা হাতানোর ছক কষেছিলেন গীতাঞ্জলি দত্ত ৷
আরও পড়ুন: অভিশপ্ত রেললাইনে স্বাভাবিকের পথে ট্রেন চলাচল, আজ যাবে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল