নয়াদিল্লি, 19 সেপ্টেম্বর: ইচ্ছাকৃতভাবে স্বামী বা স্ত্রী যদি যৌন সম্পর্ক করতে অস্বীকার করে তাহলে তা নিষ্ঠুরতার সমান ৷ বিশেষ করে নববিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে । বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনটাই বলল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ ওই মামলায় আদালত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের রায়কে বহাল রেখেছে ৷ জানা গিয়েছে, দম্পতির মনমালিন্য হওয়ায় এবং স্ত্রীর বিরোধিতার কারণে 35 দিন স্থায়ী হয়েছিল তাঁদের বিয়ে ।
যৌনতা ছাড়া বিয়ে সমস্যাযুক্ত
বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং নীনা কুমার বনসালের একটি বেঞ্চ আরও বলেছে, যৌনতা ছাড়া বিয়ে সমস্যাযুক্ত এবং যৌন সম্পর্কের হতাশা বিয়ের জন্য মারাত্মক । আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর বিরোধিতার কারণে বিয়ে সম্পন্ন হয়নি এবং পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়া যৌতুকের হয়রানির অভিযোগ দায়ের করাও নিষ্ঠুরতা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে । বেঞ্চ বলেছে, দম্পতির মধ্যে বিয়ে মাত্র 35 দিনও স্থায়ী হয়নি ৷ বরং দাম্পত্য অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং বিয়ে সম্পন্ন না হওয়ার কারণে সেটি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে ।
নিষ্ঠুরতার ভিত্তিতে স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের অধিকারী
আদালত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে নিষ্ঠুরতার ভিত্তিতে স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের অধিকারী ছিল ৷ এমনকী যদি পরিত্যাগের কারণ প্রমাণিত না হয় আদালত বলেছে, "যৌতুকের হয়রানির অভিযোগের ফলে এফআইআর দায়ের এবং পরবর্তী বিচারকে কেবল তখনই নিষ্ঠুরতার কাজ বলে অভিহিত করা যেতে পারে যখন মামলকারী যৌতুকের দাবির একটি ঘটনাও প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন ।"
আরও পড়ুন: স্বামীকে কালো বলে অপমান করাটা নিষ্ঠুরতা, বিবাহবিচ্ছেদে সায় দিয়ে মত কর্ণাটক হাইকোর্টের
বেঞ্চ বলেছে, এটা উপেক্ষা করা যায় না যে 18 বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন পরিস্থিতি অব্যাহত রাখা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমতুল্য । আদালত বলেছে যে দম্পতি 2004 সালে হিন্দু রীতি অনুসারে বিয়ে করেছিলেন এবং স্ত্রী শীঘ্রই তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে যান এবং আর ফিরে আসেননি । পরে স্ত্রী ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তালাকের জন্য পারিবারিক আদালতে যান স্বামী । তার আদেশে বেঞ্চ বলেছে, পারিবারিক আদালত সঠিকভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে তাঁর স্বামীর প্রতি স্ত্রীর আচরণ নিষ্ঠুরতার সমান, যা তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার দেয় ।