রায়পুর, 26 জানুারি: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে 72তম সাধারণতন্ত্র দিবস। সংবিধান কার্যকর হওয়ার দিন এই 26 জানুয়ারি। এই বিশেষ দিনে সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আশ্চর্য তথ্যের দিকে নজর রাখা যাক।
সংবিধান যখন লেখা হয়, তখন তার আসল প্রতিলিপিটি প্রাথমিকভাবে একটি ফ্লানেলের কাপড়ে মুড়ে তাতে ন্যাপথালিনের বল দিয়ে সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। তবে 1994 সালে দিল্লি ঠিক করে, আমেরিকার মতোই ভারতের সংবিধানের আসল কপিটিও গ্যাস চেম্বারে রাখা হবে। সংসদ ভবনের গ্রন্থাগারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি এই গ্যাস চেম্বার। দেশের 'ন্য়াশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি' ও আমেরিকার 'দ্য গেটি ইনস্টিটিউট'-এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর গ্যাস চেম্বারটি তৈরি হয়।
কেন গ্যাস চেম্বার?
ভারতীয় সংবিধান কালো কালিতে লেখা। কালি খুব দ্রুত জারিত হয়ে যায় বলে এটি সংরক্ষণ করার জন্য প্রতি ঘন মিটারে প্রায় ৫০ গ্রাম আর্দ্রতা প্রয়োজন। সেই কারণে ভারতীয় সংবিধান সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট চেম্বার তৈরি করা হয়।
কড়া নজরদারি
আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্যাস চেম্বারে মনিটরও ইনস্টল করা হয়। প্রতি বছর চেম্বারের গ্যাস খালি করা হয়। এ ছাড়াও প্রতি 2 মাসে এই চেম্বার খতিয়ে দেখা হয় এবং প্রতিনিয়ত চেম্বারটি সিসিটিভি-র নজরদারিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে সাধারণতন্ত্র দিবসের অভিনন্দন মোদির
ভারতীয় সংবিধানের কিছু তথ্য
ভারতীয় সংবিধানের মূল প্রতিলিপিটি হিন্দি ও ইংরেজিতে লেখা হয়েছিল। আমাদের দেশের সংবিধানই হল বিশ্বের সার্বভৌম দেশগুলির মধ্যে দীর্ঘতম সংবিধান। বর্তমানে সংবিধানে প্রিয়াম্বল ছাড়াও ২২টি পার্টে ৪৪৮টি ধারা, ১২টি শেডিউল, ৫টি অ্যাপেনডিস ও ১১৫টি সংশোধন রয়েছে। হিন্দি ও ইংরেজি - উভয় ভাষাতেই হাতে লেখা হয়েছে আমাদের সংবিধান। বিশ্বের হাতে লেখা সংবিধানগুলির মধ্যেও এটি দীর্ঘতম। সুন্দর ক্যালিগ্রাফিতে সংবিধানটি হাতে লিখেছিলেন প্রেম বিহারী নারাইন রাইজাদা। দেরাদুনে সংবিধান প্রকাশিত হয়েছিল। সংবিধানের মূল প্রতিলিপিতে অনন্য সাজসজ্জা করেছেন শান্তিনিকেতনের বেওহার রামমনোহর সিং ও নন্দলাল বসু।