নয়াদিল্লি, 13 মে : করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে কার্যত নাস্তানাবুদ হচ্ছে ভারত ৷ একদিকে যেমন সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চলছে, তেমন অন্য দিকে করোনার ভ্যাকসিন আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে ৷ কিন্তু তাতেও কি লাভ হবে কিছু ?
এই প্রশ্ন উঠছে ৷ কারণ, ভ্যাকসিন একটি আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ তাদের দাবি, করোনার এই যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে, তার উপর করোনার ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী হবে, সেই বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত ৷ শুধু ভ্যাকসিন নয় ওষুধ ও চিকিৎসার অন্য বিষয়গুলির এই ভ্যারিয়্যান্টের উপর প্রভাব নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় হু ৷
উল্লেখ্য, করোনার বি.1.617 এই ভ্যারিয়েন্টটিকেই ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট বলা হচ্ছে ৷ গত বছর অক্টোবরে এই ভ্যারিয়্যান্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ৷ তার পর তা ভারত ছাড়িয়ে 44 টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, এই ভ্যারিয়্যান্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ৷ আর অ্যান্টিবডির ক্ষমতায় কমিয়ে দিচ্ছে ৷ তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টকে অনেক বেশি ক্ষতকারক বলে মনে করছে ৷
করোনা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে আপডেট প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ সেখানেই এই তথ্য দেওয়া হয়েছে ৷ ওই আপডেটেই উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রিটেনে পাওয়া গিয়েছিল করোনার বি.1.17 ভ্যারিয়্যান্ট ৷ তার পর ওই ভাইরাসের বি.1.617 ভ্যারিয়্যান্ট ৷ এর পর ওই নতুন ভ্যারিয়্যান্টের দু’বার মিউটেশন হয় ৷ সেখান থেকেই তৈরি হয় বি.1.617.1 এবং বি.1.617.2 ভ্যারিয়্যান্ট দু’টি ৷ আর এটা যথেষ্ট ভয়ের কারণ ৷
কেন এই দু’টি ভ্যারিয়্যান্টকে যথেষ্ট ভয়ের বলে মনে করছে হু, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই আপডেটে ৷ সেখানে জানানো হয়েছে যে এই দু’টি ভ্যারিয়্যান্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ৷
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একমত নয় বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ৷ তাদের দাবি, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টের উপরও কার্যকরী তাদের ভ্যাকসিন ৷ এই নিয়ে কিছু তথ্যও সামনে আনা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : টানা দু’সপ্তাহে দেশের 187টি জেলায় করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে গত এপ্রিলে বি.1.617.1 ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হয়েছেন 21 শতাংশ রোগী এবং বি.1.617.2 ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হয়েছেন 7 শতাংশ রোগী ৷