ETV Bharat / bharat

বিবস্ত্র তরুণীদের হাঁটানো-একাধিক মৃত্যু! মণিপুর-সংঘর্ষে উত্তাল দেশের রাজপথ থেকে সংসদ

Manipur violence rocked the nation: এই বছরে দেশের রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মণিপুর ৷ মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বিজেপি বনাম 'ইন্ডিয়া' জোটের বিবাদ চরমে ওঠে ৷ বিবস্ত্র তরুণীদের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া থেকে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব- মণিপুর হিংসার ঘটনায় আজও সরগরম রাজনীতি ৷

ETV Bharat
অশান্ত মণিপুর
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 20, 2023, 6:00 PM IST

ইম্ফল ও নয়াদিল্লি, 19 ডিসেম্বর: বছর শেষ হতে আর ক'দিন ৷ 2023 সাল ফিরে দেখলে প্রথমেই মনে পড়ে মণিপুরের কথা ৷ দুই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি ৷ এখানে জনসংখ্যার 53 শতাংশ মেইতেই ৷ মণিপুরের উপত্যকাতেই এই গোষ্ঠীর বসবাস ৷ আর জনসংখ্যার 40 শতাংশ নাগা ও কুকি ৷ তারা পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা ৷ মেইতেই সম্প্রদায় গত 10 বছর ধরে তফশিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে ৷ তাদের এই দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর ৷

মে মাসে এই দাবির বিরোধিতা করে কুকি ৷ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এই গোষ্ঠী ৷ সেই মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইম্ফল ৷ সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে এবং সারা দেশে ৷ উন্মত্ত জনতা মন্ত্রীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ এই সবকিছুর মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় দুই বিবস্ত্র তরুণীর ভিডিয়ো ৷ তাদের বিবস্ত্র করে প্রকাশ্যে হাঁটতে বাধ্য করা হয় ৷ এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই তা যেন আগুনে ঘি ঢালে ৷ দীর্ঘ সময় ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে ৷ বিশ্বের অন্য দেশগুলিও এই ঘটনার সমালোচনা করে ৷ তবে মণিপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা এই প্রথম নয় ৷ এর আগে 1992 সালে নাগা ও কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে এমনই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ এরপর 1997 সালেও কুকি ও পাইতে জনজাতির মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর ৷

মে মাস থেকে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে থাকে মণিপুরে ৷ তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সময় এই বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি ৷ 20 জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশ শুরু হয় ৷ তার আগের দিন দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ৷ জানা যায়, মণিপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে 4 মে ৷ ওই তরুণীদের গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ৷ এর আড়াই মাস পরে ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই তা প্রকাশ্যে আসে ৷ স্বভাবতই এমন ঘটনায় কেন্দ্রে বিজেপি সরকার বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে ৷

ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরদিন সংসদীয় বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার মণিপুর নিয়ে মন্তব্য করেন ৷ মণিপুরে হিংসার ঘটনা শুরু হওয়ার 78 দিন পর তিনি পুরনো সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "আমি গভীরভাবে ব্যথিত ৷ এই ঘটনা পুরো সমাজের জন্য নিন্দনীয় ৷ রাগে ফেটে পড়ছি ৷" এদিকে জুন মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন ৷ তারপরে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিও মণিপুরে যান ৷ সেখানে ত্রাণশিবিরে থাকা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের অবস্থা দেখেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ৷

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে কেন মণিপুর যাচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক মহলে ৷ মণিপুর যখন জ্বলছে, সেই সময় তিনি আমেরিকা, মিশর এবং আরব আমির শাহি সফরে গিয়েছেন ৷ জি-20 শীর্ষ সম্মেলনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ কিন্তু মণিপুরে পা রাখেননি ৷ সংসদের বাদল অধিবেশনে মণিপুরে হিংসার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে লোকসভা ও রাজ্যসভা- দুই কক্ষই উত্তাল হয়ে ওঠে ৷ বারবার মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন ৷

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে অনড় বিরোধীরা লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ 26 জুলাই বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের পক্ষে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন ৷ এই বিতর্কে বিজেপি বনাম বিরোধী দলগুলির বিবাদ চরমে ওঠে ৷ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন ৷ তিনি অভিযোগ করেন, "ভারত মাতার হত্যা করা হয়েছে ৷" কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিতর্কে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, "কংগ্রেস এই আলোচনা চায় না ৷ তারা শুধু প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে চায় ৷"

9 অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানান, 152 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র মে মাসেই 107 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ সংসদীয় অধিবেশন শেষ হওয়ার আগের দিন 10 অগস্ট প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দেন ৷ তিনি কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ৷ খুব সামান্য সময় মণিপুর বিষয়ে বলেন ৷ তিনি আশ্বস্ত করেন, মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে ৷ বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে বিরোধীরাই পরাস্ত হয় ৷ 2027 সালে মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ৷ মণিপুরে হিংসাত্মক ঘটনার প্রভাব এই নির্বাচনে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল ৷ তার আগে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে মণিপুর আবার অশান্ত হবে না তো ? চিন্তিত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ ৷

আরও পড়ুন:

  1. মণিপুরে ভারতমাতার হত্যা করেছে বিজেপি, লোকসভায় অভিযোগ রাহুলের
  2. অনাস্থা প্রস্তাবে ফিল্ডিং সাজিয়েও বিরোধীদের নো বলে বিজেপির সেঞ্চুরি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর
  3. লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত 'ইন্ডিয়া' জোটের

ইম্ফল ও নয়াদিল্লি, 19 ডিসেম্বর: বছর শেষ হতে আর ক'দিন ৷ 2023 সাল ফিরে দেখলে প্রথমেই মনে পড়ে মণিপুরের কথা ৷ দুই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি ৷ এখানে জনসংখ্যার 53 শতাংশ মেইতেই ৷ মণিপুরের উপত্যকাতেই এই গোষ্ঠীর বসবাস ৷ আর জনসংখ্যার 40 শতাংশ নাগা ও কুকি ৷ তারা পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা ৷ মেইতেই সম্প্রদায় গত 10 বছর ধরে তফশিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে ৷ তাদের এই দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর ৷

মে মাসে এই দাবির বিরোধিতা করে কুকি ৷ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এই গোষ্ঠী ৷ সেই মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইম্ফল ৷ সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে এবং সারা দেশে ৷ উন্মত্ত জনতা মন্ত্রীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ এই সবকিছুর মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় দুই বিবস্ত্র তরুণীর ভিডিয়ো ৷ তাদের বিবস্ত্র করে প্রকাশ্যে হাঁটতে বাধ্য করা হয় ৷ এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই তা যেন আগুনে ঘি ঢালে ৷ দীর্ঘ সময় ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে ৷ বিশ্বের অন্য দেশগুলিও এই ঘটনার সমালোচনা করে ৷ তবে মণিপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা এই প্রথম নয় ৷ এর আগে 1992 সালে নাগা ও কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে এমনই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ এরপর 1997 সালেও কুকি ও পাইতে জনজাতির মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর ৷

মে মাস থেকে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে থাকে মণিপুরে ৷ তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সময় এই বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি ৷ 20 জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশ শুরু হয় ৷ তার আগের দিন দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ৷ জানা যায়, মণিপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে 4 মে ৷ ওই তরুণীদের গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ৷ এর আড়াই মাস পরে ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই তা প্রকাশ্যে আসে ৷ স্বভাবতই এমন ঘটনায় কেন্দ্রে বিজেপি সরকার বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে ৷

ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরদিন সংসদীয় বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার মণিপুর নিয়ে মন্তব্য করেন ৷ মণিপুরে হিংসার ঘটনা শুরু হওয়ার 78 দিন পর তিনি পুরনো সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "আমি গভীরভাবে ব্যথিত ৷ এই ঘটনা পুরো সমাজের জন্য নিন্দনীয় ৷ রাগে ফেটে পড়ছি ৷" এদিকে জুন মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন ৷ তারপরে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিও মণিপুরে যান ৷ সেখানে ত্রাণশিবিরে থাকা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের অবস্থা দেখেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ৷

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে কেন মণিপুর যাচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক মহলে ৷ মণিপুর যখন জ্বলছে, সেই সময় তিনি আমেরিকা, মিশর এবং আরব আমির শাহি সফরে গিয়েছেন ৷ জি-20 শীর্ষ সম্মেলনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ কিন্তু মণিপুরে পা রাখেননি ৷ সংসদের বাদল অধিবেশনে মণিপুরে হিংসার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে লোকসভা ও রাজ্যসভা- দুই কক্ষই উত্তাল হয়ে ওঠে ৷ বারবার মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন ৷

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে অনড় বিরোধীরা লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ 26 জুলাই বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের পক্ষে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন ৷ এই বিতর্কে বিজেপি বনাম বিরোধী দলগুলির বিবাদ চরমে ওঠে ৷ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন ৷ তিনি অভিযোগ করেন, "ভারত মাতার হত্যা করা হয়েছে ৷" কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিতর্কে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, "কংগ্রেস এই আলোচনা চায় না ৷ তারা শুধু প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে চায় ৷"

9 অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানান, 152 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র মে মাসেই 107 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ সংসদীয় অধিবেশন শেষ হওয়ার আগের দিন 10 অগস্ট প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দেন ৷ তিনি কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ৷ খুব সামান্য সময় মণিপুর বিষয়ে বলেন ৷ তিনি আশ্বস্ত করেন, মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে ৷ বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে বিরোধীরাই পরাস্ত হয় ৷ 2027 সালে মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ৷ মণিপুরে হিংসাত্মক ঘটনার প্রভাব এই নির্বাচনে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল ৷ তার আগে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে মণিপুর আবার অশান্ত হবে না তো ? চিন্তিত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ ৷

আরও পড়ুন:

  1. মণিপুরে ভারতমাতার হত্যা করেছে বিজেপি, লোকসভায় অভিযোগ রাহুলের
  2. অনাস্থা প্রস্তাবে ফিল্ডিং সাজিয়েও বিরোধীদের নো বলে বিজেপির সেঞ্চুরি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর
  3. লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত 'ইন্ডিয়া' জোটের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.