মহাবালেশ্বর (মহারাষ্ট্র), 26 সেপ্টেম্বর: তিমি মাছের বমি (Whale Vomit) পাচার করতে গিয়ে আটক 4 ৷ অভিযুক্তদের মধ্যে মহাবালেশ্বর পৌরসভার এক প্রাক্তন আধিকারিকও আছে ৷ উদ্ধার হওয়া অ্যাম্বারগ্রিস বা তিমি মাছের বমির পরিমাণ সাড়ে 6 কেজি ৷ যার মূল্য 6 কোটি টাকা ৷ মহাবালেশ্বর সাতারা বনবিভাগের অভিযানে পাচারের আগে উদ্ধার হয়েছে এই বহুমূল্যের তিমির বমি ৷ উদ্ধার হওয়া বস্তুটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷
গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তরা হল মহাবালেশ্বরের প্রাক্তন কর্পোরেটর প্রকাশ রামচন্দ্র পাতিল, জাভালি জেলার মেধার বাসিন্দা সঞ্জয় জয়রাম সুরভে, বোন্ডারওয়াড়ির বাসিন্দা অনিল অর্জুন ওম্বলে এবং রত্নাগিরির নিসর্গ বিহারের বাসিন্দা সন্তোষ খুশলচন্দ্র জৈন । সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক বাজারে এই অ্যাম্বারগ্রিসের বা তিমি মাছের বমি কেজি প্রতি দেড় কোটি টাকা দরে বিকোয় ।
মহাবালেশ্বরের ফরেস্ট অফিসার অদিতি ভরদ্বাজের তত্বাবধানে সাতারার বনাধিকারিক মহেশ জাঞ্জুরনে (Mahesh Zanjurn) ও তাঁর সহকারী গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে অভিযান চালান মহাবালেশ্বর এলাকায় ৷ সেই অভিযানে এই বহুমূলের তিমি মাছের বমি উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে, মহাবালেশ্বর থেকে তিনজনকে বাঘের চামড়া এবং নখর বিক্রি করার অপরাধে মুম্বইয়ের এমএইচবি কলোনির পুলিশ গ্রেফতার করেছিল । তাদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি বাঘের চামড়া এবং 10.6 লক্ষ টাকা মূল্যের 12টি বাঘের নখ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দর থেকে বাজেয়াপ্ত কিং কোবরা, পাইথন, বাঁদরের মৃতদেহ
এর আগে, বেঙ্গালুরুর এয়ার কাস্টমস কর্মকর্তারা ব্যাংকক থেকে এক পাচারকারীরে গ্রেফতার করে 234টি বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী পাচারের আগে ৷ 21শে অগস্ট রাতে ব্যাংকক থেকে FD-137 ফ্লাইটে দেবনাহল্লি কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে ৷ সেখান থেকে প্রাণীগুলিকে পাচারে পরিকল্পনা ছিল ৷ তবে পুলিশ আটক করায় তা ভেস্তে যায় ৷