গয়া (বিহার), 12 অগস্ট: মাওবাদী পলিটব্যুরো সদস্য প্রমোদ মিশ্র স্বীকার করে নিলেন বিহারে স্কুলগুলি জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য তিনিই দায়ী । তিনি বলেন, "স্কুলগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কারণ সেগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশ কর্মীদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল ।" তাঁকে দু'দিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁর মাথায় দাম ঠিল এক কোটি টাকা ৷ মাও নেতাকে এ দিন বিহারের এক আদালতে পেশ করা হয় ৷ তখন সাংবাদিকদের সামনে তিনি বিহারের স্কুলে হামলার কথা স্বীকার করে নেন ৷ এছাড়াও বিরোধী নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করে এই মাও নেতা বলেন, "দেশের জ্বলন্ত ইস্যুতে বিরোধীরা নীরব । মণিপুরের কথা ভাবুন । কী হচ্ছে সেখানে ? কিন্তু বিরোধীদের ভূমিকা মোটেও সন্তোষজনক নয় এবং এটা করে তারা একভাবে বিজেপি সরকারকে সমর্থন করছে ।"
প্রমোদ মিশ্র ইস্টার্ন জোনাল কমান্ড মাওবাদী নেতা ৷ তিনি বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি-সহ পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন ৷ তবে বিহারে বাড়ে সরকার নামে পরিচিত সন্দীপ যাদবের মৃত্যুর পর এই মাও সংগঠনটি ধাক্কা খায় । মাওবাদী নেতা বলেন, "বাড়ে সরকারের মৃত্যু সংগঠনটিকে একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে ৷ সংগঠন এখনও তাঁর উত্তরসূরি কাউকে খুঁজে পায়নি ।" বিজেপি এবং কেন্দ্রকে 'ফ্যাসিবাদী' শক্তি হিসাবে অভিহিত করে প্রমোদ মিশ্র বলেন, "তারা শীর্ষ কর্পোরেট হাউসগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং জনগণকে শোষণ করার চেষ্টা করছে । প্রকৃত মুক্তির পথ মার্কসবাদ, নতুন গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং সাম্যবাদের মধ্যে নিহিত রয়েছে ।"
আরও পড়ুন: শহিদ সপ্তাহের মধ্যে সুকমায় আত্মসমর্পণ মহিলা মাওবাদীর
বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ড-বিহার সীমানার কাছে গয়া থেকে প্রমোদ মিশ্র এবং তাঁর সহযোগীকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার করেছিল । সম্প্রতি তিনি সারন্দা এলাকায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল ৷ যেটি ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর পূর্বের মতো রাজ্যগুলির তত্ত্বাবধানকারী মাওবাদী পূর্ব আঞ্চলিক ব্যুরোর সদর দফতর হিসাবে কাজ করে ।