নয়াদিল্লি, 25 নভেম্বর: রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (WBSSC scam) কাণ্ডে 'অযোগ্য' প্রার্থীদের চাকরিতে পুনর্বহাল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে (SC Stays Calcutta HC Order) রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ অবৈধ ভাবে নিযুক্তদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য কার নির্দেশে আবেদন করা হয়েছিল, তার তদন্ত করতে সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ই বহাল রেখেছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ তবে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সেই আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ৷ এর অর্থ এখনই সেই মামলার তদন্ত করবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে বিষয়টি উল্লেখ করেন । বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ পাশাপাশি এই মামলায় রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীশ জৈনকে আদালতে হাজিরার যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট, সেই আদেশেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ ফলে এখনই আদালতে হাজিরা দিতে হবে না মণীশ জৈনকে ৷
বহু কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যাঁরা 'অবৈধ' ভাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের পুনর্বহালের জন্য আবেদন করছিল রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ সেই আবেদনে আদালতকে বলা হয়েছিল, "অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাঁচানো হোক ৷" এই আবেদনের পেছনে আসলে কার হাত রয়েছে ? এ কথা জানতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে বলেন তিনি ৷ সেই রায়কে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ জানানো হলে, সেখানেও সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখা হয় ৷ তবে এ বার সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়ায়, আপাতত এই মামলার তদন্ত করবে না সিবিআই ৷