এলুরু(অন্ধ্রপ্রদেশ), 18 অক্টোবর: বাড়িতে আধার কার্ড চাইতে এসে মা-বাবার অবর্তমানে দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় ওয়ার্ড ভলান্টিয়ার ৷ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরু জেলায় ৷ নাবালিকা পরিবারের অভিযোগ, ওয়াইএসআরসিপি নেতার চাপে পুলিশ ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত করতে দেরি করেছে। এমনকী পলাতক অভিযুক্তকে নিজেদেরই ধরতে পরামর্শ দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ভলান্টিয়ার প্রায়শ্যই কিশোরীর পিছু নিতেন এবং হয়রানি করতেন। মাসদুয়েক আগে নাবালিকার বাবা-মায়ের আধার কার্ড চাইতে বাড়িতে এসেছিল সে ৷ অভিযোগ, আশেপাশে কেউ না-থাকার সুযোগ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ওই ভলান্টিয়ার। মেয়েটি যদি তার মা-বাবাকে জানায় তাহলে তাঁরা তাকে মেরে ফেলবে বলেও ভয় দেখায় অভিযুক্ত ৷ অভিযোগ, প্রাণে মারার ভয় দেখিয়েই নাবালিকাকে বহুবার ধর্ষণ করে ওই ভলান্টিয়ার ।
এরপর স্কুলে ছুটি পড়ে যাওয়ায় দিদার বাড়ি চলে যায় কিশোরী ৷ সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় মেয়েটিকে ৷ ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর পর দেখা যায় যে সে গর্ভবতী ৷ কিশোরীর বাবা-মা মেয়ের সঙ্গে ঘটনায় কথা জানতে পেরে ভলান্টিয়ারের কাছে যান । মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাবও দেওয়া হয় ৷ 10 হাজার বিনিময়ে পঞ্চায়েতে আলোচনায় বসে কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি হন তিনি । বিয়ের সব ব্যবস্থা সেরে ফেলেন কিশোরীর পরিবার ৷ কিন্তু বিয়ের আগের দিন পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ৷
এরপরই মেয়েটির বাবা-মা এলুরু দিশা থানার দ্বারস্থ হন ৷ তবে তাঁদের দিবি, তাঁরা থানায় গেলে কোনও অফিসার না-থাকায় অভিযোগ নেওয়া হয়নি । তারপর দেন্দুলুরু থানায় যাওয়ার পরেও তারা মামলা নথিভুক্ত করতে দেরি করে । দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ এই ঘটনায় আমল না-দেওয়ায় নির্যাতিতার মা-বাবা 112 নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করেন। অবশেষে 5 অক্টোবর মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: বন্ধুকে বিশ্বাস করে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা, ঘটনায় গ্রেফতার চার
তদন্তে দেরির বিষয়ে কিশোরীর পরিবারের লোকেরা পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা অভিযুক্তকে খুঁজে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় । কিশোরীর পরিবার অভিযোগ করেছে যে ভলান্টিয়ার স্থানীয় ওয়াইএসআরসিপি নেতা ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ তাঁর ব্যবস্থা নিচ্ছে না এবং মামলা নথিভুক্ত করতে অনেক দেরি করেছে । এলুরু এসপি মেরি প্রশান্তি এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "এটা সত্যি যে দিশা থানায় কোনও অফিসার নেই । এই ধর্ষণের ঘটনা আমার নজরে আসেনি ৷ আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব ৷"