ETV Bharat / bharat

Kerala Girl: পরীক্ষায় 500 এর মধ্যে 496, শিক্ষার আলোয় দৃষ্টির অন্ধকারকে হারিয়ে সেরা কেরলের হানাহ - শিক্ষার আলোয় দৃষ্টির অন্ধকারকে হারিয়ে সেরা কেরলের হানাহ

দ্বাদশ শ্রেণির সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষায় পূর্ণমান 500 এর মধ্যে 496 পেয়েছেন হানাহ অ্যালাইস সিমোন ৷ দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থাকলেও আর পাঁচজন পড়ুয়ার মতো সাধারণ স্কুলেই পড়াশোনা করেছে সে ৷ তাঁর এই সাফল্যের পিছনে বড় অবদান রয়েছে তাঁর অভিভাবকদের (Visually challenged girl beats all odds and tops in Class 12 CBSE Exam) ৷

Visually challenged Kerala Girl
শিক্ষার আলোয় দৃষ্টির অন্ধকারকে হারিয়ে সেরা কেরলের হানাহ
author img

By

Published : Jul 25, 2022, 7:15 PM IST

কোচি, 25 জুলাই : ইচ্ছে আর মনের জোর থাকলে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে কোনও বাধা নয়, তা ফের প্রমাণিত হল ৷ নাছোড় জেদে ভর করে তা প্রমাণ করে দেখালেন কেরলের কোচির 19 বছর বয়সি তরুণী হানাহ অ্যালাইস সিমোন ৷ দ্বাদশ শ্রেণির সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষায় পূর্ণমান 500 এর মধ্যে 496 পেয়েছেন দৃষ্টিহীন এই কৃতী পরীক্ষার্থী ৷ পেয়েছেন প্রথম স্থান ৷ মাইক্রোপথ্যালমিয়া নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারান হানাহ (Visually challenged girl beats all odds and tops in Class 12 CBSE Exam) ৷

কৃতী এই পড়ুয়ার আরও একাধিক গুণ রয়েছে ৷ 'ওয়েলকাম হোম' নেমে একটি বইও লিখেছেন হানাহ ৷ সে বইয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির 6 পড়ুয়াকে নিয়ে 6টি গল্প রয়েছে ৷ 15 জুলাই প্রকাশিত হয়েছে বইটি ৷ এছাড়াও নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে তাঁর ৷ সেখানে গান গাওয়া ছাড়াও, অনুপ্রেরণামূলক কথা বলেন হানাহ ৷ কৃতী এই তরুণী জানিয়েছেন, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থাকলেও আর পাঁচজন পড়ুয়ার মতো সাধারণ স্কুলেই পড়াশোনা করেছে সে ৷ তাঁর কথায়, "বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য তৈরি স্কুলে না পাঠিয়ে আমার অভিভাবকরা আমায় সাধারণ স্কুলেই পড়াশোনা করিয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষায় আমার কোনও সমস্যা না হয় ৷"

তবে এই কৃতীত্ব অর্জন করার পথে তাঁকে যে অনেক প্রতিকূল পথ অতিক্রম করতে হয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন হানাহ অ্যালাইস সিমোন ৷ বলেছেন,"আমার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য আমায় ছোটবেলায় অনেক কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছে ৷ আমি যত বড় হতে থাকলাম অনেকেই আমার সঙ্গে তত দূরত্ব বাড়াতে শুরু করল ৷ কিন্ত আমি জানতাম জীবনে আমায় এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আরও হতে হবে ৷ তাই ছোটবেলা থেকে এই ধরণের ব্যবহার আমাকে ভিতর থেকে আরও দৃঢ় করেছে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য ৷"

আরও পড়ুন: 'ভারতে গরিব শুধু স্বপ্ন দেখে না, তা পূরণও করে...', বার্তা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীর

হানাহ জানিয়েছেন তাঁর এই সাফল্যের পিছনে বড় অবদান রয়েছে তাঁর অভিভাবকদের ৷ তাঁর কথায়, "বাবা- মা কখনই আমাকে আলাদা করে দেখেননি ৷ তাঁদের আরও দুটি সন্তানের মতোই আমিও সমান ৷ আমি যে আলাদা, এটা তাঁরা কখনও আমাকে বলেননি ৷ তাঁরা সবসময় বলতেন আমি অন্যান্য সমবয়সিদের মতোই ৷ আমিও তাদের মতো সবকিছু করতে পারি ৷ আমি ছোট থেকে দৌঁড়তে চাইতাম ৷ স্কুলের মাঠে নিয়ে গিয়ে আমার হাত ধরে দৌঁড়তেন তাঁরা ৷"

কোচি, 25 জুলাই : ইচ্ছে আর মনের জোর থাকলে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে কোনও বাধা নয়, তা ফের প্রমাণিত হল ৷ নাছোড় জেদে ভর করে তা প্রমাণ করে দেখালেন কেরলের কোচির 19 বছর বয়সি তরুণী হানাহ অ্যালাইস সিমোন ৷ দ্বাদশ শ্রেণির সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষায় পূর্ণমান 500 এর মধ্যে 496 পেয়েছেন দৃষ্টিহীন এই কৃতী পরীক্ষার্থী ৷ পেয়েছেন প্রথম স্থান ৷ মাইক্রোপথ্যালমিয়া নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারান হানাহ (Visually challenged girl beats all odds and tops in Class 12 CBSE Exam) ৷

কৃতী এই পড়ুয়ার আরও একাধিক গুণ রয়েছে ৷ 'ওয়েলকাম হোম' নেমে একটি বইও লিখেছেন হানাহ ৷ সে বইয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির 6 পড়ুয়াকে নিয়ে 6টি গল্প রয়েছে ৷ 15 জুলাই প্রকাশিত হয়েছে বইটি ৷ এছাড়াও নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে তাঁর ৷ সেখানে গান গাওয়া ছাড়াও, অনুপ্রেরণামূলক কথা বলেন হানাহ ৷ কৃতী এই তরুণী জানিয়েছেন, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থাকলেও আর পাঁচজন পড়ুয়ার মতো সাধারণ স্কুলেই পড়াশোনা করেছে সে ৷ তাঁর কথায়, "বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য তৈরি স্কুলে না পাঠিয়ে আমার অভিভাবকরা আমায় সাধারণ স্কুলেই পড়াশোনা করিয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষায় আমার কোনও সমস্যা না হয় ৷"

তবে এই কৃতীত্ব অর্জন করার পথে তাঁকে যে অনেক প্রতিকূল পথ অতিক্রম করতে হয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন হানাহ অ্যালাইস সিমোন ৷ বলেছেন,"আমার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য আমায় ছোটবেলায় অনেক কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছে ৷ আমি যত বড় হতে থাকলাম অনেকেই আমার সঙ্গে তত দূরত্ব বাড়াতে শুরু করল ৷ কিন্ত আমি জানতাম জীবনে আমায় এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আরও হতে হবে ৷ তাই ছোটবেলা থেকে এই ধরণের ব্যবহার আমাকে ভিতর থেকে আরও দৃঢ় করেছে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য ৷"

আরও পড়ুন: 'ভারতে গরিব শুধু স্বপ্ন দেখে না, তা পূরণও করে...', বার্তা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীর

হানাহ জানিয়েছেন তাঁর এই সাফল্যের পিছনে বড় অবদান রয়েছে তাঁর অভিভাবকদের ৷ তাঁর কথায়, "বাবা- মা কখনই আমাকে আলাদা করে দেখেননি ৷ তাঁদের আরও দুটি সন্তানের মতোই আমিও সমান ৷ আমি যে আলাদা, এটা তাঁরা কখনও আমাকে বলেননি ৷ তাঁরা সবসময় বলতেন আমি অন্যান্য সমবয়সিদের মতোই ৷ আমিও তাদের মতো সবকিছু করতে পারি ৷ আমি ছোট থেকে দৌঁড়তে চাইতাম ৷ স্কুলের মাঠে নিয়ে গিয়ে আমার হাত ধরে দৌঁড়তেন তাঁরা ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.