ইন্দোর, 7 এপ্রিল : মুখ থেকে মাস্ক নেমে যাওয়ায় পুলিশের বেধড়ক মারের মুখে পড়লেন অটো রিক্সা চালক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ৷ ভিডিয়ো ভাইরাল হতে বরখাস্ত করা হয় অভিযুক্ত দুই পুলিশ অফিসারকে ৷
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ৷ এই অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে কড়া হচ্ছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার ৷ গত 30 মার্চ, কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে, করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইন মেনে জরিমানা নেওয়ার কথা বলা হয় ৷ এই থেকে শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে এ-ধরণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে ৷ একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে সঠিকভাবে মাস্ক না পড়ার জন্য শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে অনেককে ৷ রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাওয়া বা জল খাওয়ার সময়ও মাস্ক সরালে পড়তে হয়েছে শাস্তির মুখে ৷ এবার মাস্ক না সরিয়েও শুধুমাত্র মাস্ক সরে যেতেই পুলিশের চরম মারের মুখে অটোচালক ৷
35 বছর বয়সী কৃষ্ণ কেয়ের নামে ওই ব্যক্তি পেশায় অটোচালক ৷ মঙ্গলবার তিনি তাঁর অসুস্থ বাবাকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ৷ রাস্তায় তাঁর মুখে থাকা মাস্ক সামান্য সরে, নাক থেকে নেমে যায় ৷ ওই সময় রাস্তায় দুই কর্তব্যরত পুলিশ, মাস্ক ঠিক করে না পড়ার জন্য তাঁকে পুলিশস্টেশনে নিয়ে যেতে চায় ৷ যেতে না চাইলে, তাঁকে মারধর শুরু করে ওই দুই পুলিশকর্মী ৷ এরপর শুরু হয় অমানবিক অত্যাচার ৷ রাস্তার মাঝখানে তাঁকে ফেলে চলতে থাকে ব্যাপক মারধর ৷ চলতে থাকে এলোপাথাড়ি লাথি, ঘুঁষি ৷ কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর ছেলে ছিল ৷ সে পথচলতি মানুষের কাছে সাহায্যের আর্তি জানায় ৷ কিন্তু এগিয়ে আসেননি কেউই ৷ সবাই তখন ব্যস্ত ফোনে ছবি তুলতে কিংবা ভিডিয়ো করতে ৷
আরও পড়ুন : গাড়িতে একা থাকলেও পরতে হবে মাস্ক, নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের
কামাল প্রজাপত এবং ধর্মেন্দ্র জাট নামে ওই দুই পুলিশ অফিসারকে সনাক্ত করা গেলেও, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রথমে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ ভিডিয়োটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে নেট মাধ্যমে ৷ প্রতিবাদের ঝড় ওঠে নেট দুনিয়ায় ৷ ভিডিয়োটি ভাইরাল হলে, তাঁদের বরখাস্ত করা হয় ৷