অমরাবতী (অন্ধ্রপ্রদেশ), 27 এপ্রিল: মেয়ের বয়সী এক নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হেনস্তার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া পকসো আদালত বুধবার এই সাজা শুনিয়েছে ৷ দোষীর নাম বিনোদ জৈন ৷ বছর 49-এর ওই ব্যক্তি টানা দু’মাস ধরে এক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায় ৷ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে লাফ দেয় মেয়েটি৷ ফলে তার মৃত্যু হয় ৷
এই নিয়ে 2022 সালের 29 জানুয়ারি ভবানীপুরম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির দাদু ৷ বিনোদের বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ একাধিক ধারায় পুলিশ মামলা রুজু করে ৷ ওই বছর 1 ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তার পর সম্প্রতি তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৷ বুধবার তাকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয় ৷ সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ৷ পকসো আইনের একাধিক ধারায় আরও কয়েক বছরের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ৷
বিচারক রায়ে জানিয়েছেন যে মামলাটিকে একটি নৃশংস অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত ৷ কারণ, মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল, যার ফলে তার মৃত্যু হয়েছিল ও তার মা-বাবার জন্য মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়েছিল ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বয়স ছিল 13 ৷ সে বিনোদ যে ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকত, সেখানেই অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকত ৷ মেয়েটি বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকত বিনোদ ৷ সুযোগ পেলেই মেয়েটির সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলত ৷ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আপত্তিকরভাবে হাত দিত ৷ মেয়েটি বাড়ির লোককেও জানিয়েছিল ৷ তার পরও থামেনি অত্যাচার ৷ ফলে 2022 সালের 29 জানুয়ারি বিকেল 5টা 15 মিনিটে ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে ৷
মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোট লিখে যায় মেয়েটি ৷ তিনপাতার সুইসাইড নোটে মায়ের উদ্দেশ্যে বিনোদের অত্যাচারের কাহিনি লিখে যায় ৷ তার ফোন ও ট্যাবেও অত্যাচারের কাহিনি রেকর্ড করে গিয়েছিল মেয়েটি ৷ আত্মহত্য়ার দু’দিন আগে 19 বার নিজের মোবাইলেন ‘আই ওয়ান্ট টু ডাই’ কথাটা লিখেছিল ৷ পুলিশ তদন্তে নেমে ওই সুইসাইড নোট উদ্ধার করে ৷ মেয়েটির হাতের লেখার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয় ৷ তদন্তে সেটাই মূল প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ৷
আরও পড়ুন: 'দুটি মেয়ে আছে, এবার ছেলে চাই'; স্ত্রীর সহযোগিতায় ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ অধ্যাপকের !