নয়াদিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর: সংসদ এবং বিধানসভায় মহিলাদের 33 শতাংশ আসন সংরক্ষণের বিষয়টি আরও একধাপ এগিয়ে গেল ৷ সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে চলতি মাসেই মহিলা সংরক্ষণ বিল বা নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম পাশ করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশ হয়েছে ৷ সংসদের নিম্নকক্ষে দুই সাংসদ বিপক্ষে ভোট দিলেও রাজ্যসভায়য় বিল পাশ হয়েছে সর্বসম্মতিতে। এবার তাতে সই করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় ৷ এরপর বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হবে ৷ তাঁর অনুমোদন পেলে বিলটি আইনে পরিণত হবে ৷
উপ-রাষ্ট্রপতির দফতরের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান 123তম সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন ৷ এবার সংবিধানের 111 ধারা অনুয়ায়ী বিলটিকে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হবে ৷ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৎপরতার সঙ্গে মহিলাদের সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্র ৷ তবে এখনই সংরক্ষণের সুবিধে মহিলরা পাবেন না ৷ নতুন করে জনগণনার পরই এই বিষয়টি কার্যকর হতে চলেছে ৷ এই বিল ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তুমুল তরজার সৃষ্টি হয়েছে ৷
বিল পেশ এবং পাশ হওয়ার বিষয়টির মধ্যে নিজেদের সাফল্য দেখছে কংগ্রেস ৷ লোকসভায় আলোচনার সময় সে কথাই বলেছিলেন সোনিয়া গান্ধি ৷ তাঁর দাবি ছিল প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি এই স্বপ্ন দেখেছিলেন ৷ এবার তা সফল হল। অন্যদিকে, প্রায় বিনা বাধায় সংসদের দুই কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ায় সাংসদদের ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
আরও পডু়ন: মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ বিজেপির মহিলা ব্রিগেড
বামেদের তরফে এই বিলটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে ৷ সংসদের সমর্থন করেছে বামদলগুলি ৷ তবে সংসদের বাইরে সিপিআইএম লিবারেশনের মতো দল এই বিলের কিছু ত্রুটিও তুলে ধরেছে ৷ দলের নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে চমক দেওয়ার লক্ষ্যেই বিল পাশ করিয়েছে মোদি সরকার ৷ নতুন করে আদমশুমারির আগে এই ধরনের বিল কার্যকর কররা কোনও মানেই হয় না বলে মত এই বামনেতার।