নয়াদিল্লি, 26 ডিসেম্বর: ভিডিয়োকনের চেয়ারম্যান বেণুগোপাল ধুত (Venugopal Dhoot), আইসিআইসিআই ব্য়াংকের প্রাক্তন ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দা কোছার (Chanda Kochhar) এবং তাঁর স্বামী দীপক কোছারকে (Deepak Kochhar) সোমবার সিবিআই আদালতে (CBI Court) পেশ করা হয় ৷ আইসিআইসিআই ব্যাংক ও ভিডিয়োকনের ঋণ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তাঁদের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ সোমবার সেই মামলাতেই এই তিন অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে সিবিআই ৷ আদালতের কাছে তিনজনেরই তিনদিনের হেফাজত চাওয়া হয় ৷ সেই দাবি মেনে নেন বিচারক ৷ সেই অনুসারে, আগামী 28 ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে (CBI Custody) থাকতে হবে এই ত্রয়ীকে ৷
এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, ঋণ দুর্নীতি মামলায় (Videocon ICICI Case) তাঁরা কোছার দম্পতিকে আরও তিনদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে রাখতে চান ৷ তদন্তের স্বার্থে সেটা অত্যন্ত জরুরি ৷ একইসঙ্গে, বেণুগোপাল ধুতকেও আগামী তিনদিন সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করা হয় ৷
আরও পড়ুন: ব্যাংক জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার ভিডিওকনের চেয়ারম্যান
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই এই মামলায় বেণুগোপাল ধুতকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ ঋণ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ সেই কারণেই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে কথা বলতে চান গোয়েন্দারা ৷
এর আগে গত শনিবার চন্দা কোছার ও স্বামীকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল ৷ সেদিনও এই দম্পতিকে তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয় ৷ এরপর এদিন, অর্থাৎ সোমবার, সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, তদন্ত এখন যে স্তরে রয়েছে, তাতে এই তিনজনের সঙ্গে একত্রে কথা বলা দরকার ৷ সেই কারণেই সকলকে হেফাজতে নিতে হবে ৷ আদালত এই যুক্তি মেনে নেয় ৷ উল্লেখ্য, এই ঋণ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জলঘোলা চলছে ৷ শেষমেশ, গত শুক্রবার চন্দা কোছার ও তাঁর স্বামী দীপক কোছারকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷
এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল 2009 সালে ৷ সেই বছর থেকে শুরু করে 2011 সাল পর্যন্ত ভিডিয়োকনের নামে মোট 1 হাজার 875 কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে আইসিআইসিআই ব্য়াংক ৷ পরবর্তীতে অভিযোগ ওঠে, এই ঋণ নিয়ম মেনে মঞ্জুর করা হয়নি ৷ বস্তুত, এর নেপথ্যে রয়েছে বড় দুর্নীতি ৷
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই ৷ তারা জানতে পারে, 2009 সালের জুন মাস থেকে 2011 সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত মোট ছ'দফায় ভিডিয়োকনের নামে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে ৷ সেই ঋণের মোট মূল্য 1 হাজার 875 কোটি টাকা ৷ এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম, নীতি মানা হয়নি বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ৷ পরবর্তীতে 2012 সালে ঋণবাবদ পাওয়া এই টাকা 'নন-পারফরমিং অ্যাসেট' হিসাবে ঘোষণা করা হয় ৷ তাতে ব্য়াংকের 1 হাজার 730 কোটি টাকার লোকসান হয় ৷