শামলি (উত্তরপ্রদেশ), 25 সেপ্টেম্বর: অত্যধিক ঠান্ডা ঘরে রাখা হয়েছিল দুই নবজাতককে ৷ ক্লিনিকের মালিক যাতে রাতে আরামে ঘুমোতে পারেন, সে জন্য সারারাত এয়ার কন্ডিশনার চালিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ তার জেরেই দুই শিশুর মৃত্যু হয় ৷ এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের শামলির একটি বেসরকারি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগীরাজ্যের সরকার ৷
নবজাতকের পরিবারের অভিযোগ, শনিবার ক্লিনিকের মালিক ডা. নীতু ভালোভাবে ঘুমোবেন বলে সারা রাত এয়ার কন্ডিশনার (এসি) চালু রেখেছিলেন । রবিবার সকালে ওই দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় । এসএইচও (কাইরানা) নেত্রপাল সিং বলেন, শিশুদের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে নীতুর বিরুদ্ধে আইপিসির ধারা 304 (হত্যা না করলেও অপরাধী হিসেবে হত্যাকাণ্ডের শাস্তি) এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে । অভিযুক্ত নীতুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান এসএইচও ।
এ দিকে, এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যবিভাগ । অতিরিক্ত চিফ মেডিক্যাল অফিসার (এসিএমও) ডা. অশ্বানী শর্মা বলেন যে, এই ক্ষেত্রে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন: লখনউতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে গুলিবিদ্ধ যুবক, আটক চার
অভিযোগ, শনিবার কৈরানার সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশুদুটির জন্ম হয় এবং পরে একই দিনে বেসরকারি ক্লিনিকে দুই নবজাতককে স্থানান্তরিত হয় । তাদের চিকিৎসার জন্য ফটোথেরাপি ইউনিটে রাখার প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসক ৷ সেই মতোই তাদের রাখা হয়েছিল ফটোথেরাপি ইউনিটে ।
ক্লিনিকের মালিক ডা. নীতু শনিবার রাতে ভালো ভাবে যাতে ঘুমোতে পারেন, সে জন্য এয়ার কন্ডিশনার চালু করেছিলেন ৷ এরপর সারা রাতে আর এসি বন্ধ করা হয়নি ৷ পরের দিন শিশুর পরিবার ক্লিনিকে উভয় শিশুকে ইউনিটে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় ৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে মৃত শিশুর পরিবার ৷ নীতুর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা । (সংবাদসংস্থা আইএএনএস)