পটনা, 27 ফেব্রুয়ারি: কিডনির অসুস্থতা নিয়ে বছর ষাটের এক ব্যক্তিকে সম্প্রতি ভর্তি করা হয় বিহারের ছাপরা জেলা সদর হাসপাতালে (Sadar Hospital in Chhapra district) ৷ রোগ নির্ণয় যাতে আরও ভালোভাবে করা যায় সেজন্য হাসপাতালের তরফে প্রৌঢ়ের দেহে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার সুপারিশ করা হয় ৷ হাসপাতালের সুপারিশ মেনে সেই পরীক্ষায় করে প্রৌঢ়ের পরিবার ৷ কিন্তু আলট্রাসাউন্ডের রিপোর্ট রোগীর শরীরে জরায়ুর সন্ধান পেতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় (Uterus detected in elderly man's ultrasound in Chhapra) ৷
পুরুষদেহে জরায়ু উপস্থিতির খবরে কার্যত হইচই পড়ে যায় ছাপরা জেলা সদর হাসপাতালে ৷ কীভাবে সম্ভব এটা ? নিশ্চিত হতে দ্বিতীয়বার ওই প্রৌঢ়ার শরীরে আলট্রাসাউন্ড করানো হয় ৷ সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর যদিও স্বস্তির নিঃশ্বাস পরিবারের ৷ শুধুই কি রোগী পরিবার, স্বস্তি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও ৷ তাহলে প্রথম রিপোর্টে কীভাবে সন্ধান মিলেছিন জরায়ুর ? জবাবে সম্পূর্ণ বিষয়টি 'হিউম্যান এরর' বলে দায় সেরেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷
-
In 2014, a 70 year old cis man who had fathered four children went to hospital in Kashmir with an inguinal hernia. Everything about him and his life had so far been ordinary - except that the hernia turned out to be his uterus with an ovarian tube and broad ligament.
— Vagina Museum (@vagina_museum) February 21, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">In 2014, a 70 year old cis man who had fathered four children went to hospital in Kashmir with an inguinal hernia. Everything about him and his life had so far been ordinary - except that the hernia turned out to be his uterus with an ovarian tube and broad ligament.
— Vagina Museum (@vagina_museum) February 21, 2023In 2014, a 70 year old cis man who had fathered four children went to hospital in Kashmir with an inguinal hernia. Everything about him and his life had so far been ordinary - except that the hernia turned out to be his uterus with an ovarian tube and broad ligament.
— Vagina Museum (@vagina_museum) February 21, 2023
জানা গিয়েছে হাসপাতালের গাফিলতিতে ভোগান্তির শিকার হওয়া রোগীর নাম বড়ে মিয়াঁ ৷ ছাপরারই বাসিন্দা বড়ে মিয়াঁকে কিডনির চিকিৎসা করাতে ছাপরা জেলা সদরে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা ৷ রোগ নির্ণয়ে প্রৌঢ়ের শরীরে আলট্রাসাউন্ড করানোর সুপারিশ করেন চিকিৎসকেরা ৷ সেই আলট্রাসাউন্ডের রিপোর্ট জানায়, বড়ে মিয়াঁর তলপেটে নাকি জরায়ুর সন্ধান মিলেছে ৷ এক চিকিৎসা করাতে এসে আরেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে তখন মাথায় হাত প্রৌঢ়ের পরিবারের ৷ রেডিয়োলজিস্ট কিংবা ল্যাব পরীক্ষকদের ত্রুটির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করে বড়ে মিয়াঁর পরিবার ৷
আরও পড়ুন: অপহরণ করে যৌন নির্যাতন ! আশংকাজনক 2 বছরের শিশুকন্যা
ত্রুটি নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই পুনরায় আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় প্রৌঢ়কে ৷ দ্বিতীয়বার রিপোর্টে বড়ে মিয়াঁর তলপেটে কোনও জরায়ুর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি ৷ তখনই নিশ্চিত হয় চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই ঘটেছে সবটা ৷ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্তোষ কুমার বিষয়টিকে 'হিউম্যান এরর' আখ্যা দেন ৷ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে কোনওরকম উত্তেজনার খবর যদিও পাওয়া যায়নি ৷