ওয়াশিংটন, 28 এপ্রিল: আমেরিকা "সব রকম" সাহায্য পাঠাচ্ছে ভারতে ৷ আর সঙ্গে কোভিড-19 ভ্যাকসিন পাঠানোর চিন্তাও রয়েছে ৷ জানালেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ সোমবার প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে ফোনে কথোপকথন হয় ভারতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ওষুধ পাঠানো বিষয়ে ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে কাহিল অবস্থা ভারতের ৷ তাই "যতটা সম্ভব সাহায্য" করার কথা জানান প্রেসিডেন্ট ৷
বাইডেন বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, আমরা খুব তাড়াতাড়ি রেমডেসিভির-সমেত সব রকম প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠাচ্ছি ৷ যাতে মানুষ খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে ৷"
আরও পড়ুন: কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ, কোথায় ভুল করলাম আমরা ?
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, "আমরা ভ্যাকসিন তৈরির মেশিনের জন্য দরকারি যন্ত্রাংশগুলি পাঠাব ৷ আর আমি ভারতে ভ্যাকসিন পাঠাতে চাই, কখন তা পাঠাতে পারব, সে বিষয়েও আলোচনা করেছি মোদির সঙ্গে ৷ একেবারে শুরুতে আমাদের অবস্থা যখন খুবই খারাপ ছিল, তখন ভারত আমাদের সাহায্য করে ৷" প্যানডেমিকের শুরুর সময় আমেরিকার সংকটে পাশে ছিল ভারত, জানিয়েছেন তিনি ৷
আমেরিকা ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাঁচামাল, ওষুধ পাঠানোর কথা ঘোষণার পরেই মোদির সঙ্গে বাইডেনের এই ফোনালাপ হয় ৷
ভারতে কী ভাবে অক্সিজেন আর অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো যায়, তার উপায়গুলির অনুসন্ধান চালাচ্ছে আমেরিকা, জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ ৷
একটি সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন নিউ দিল্লির সঙ্গে কাঁচামাল, ওষুধ পাঠানোর বিষয়ে "ঘন ঘন যোগাযোগ" করছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল তারা সরবরাহ করবে ৷
গত 24 ঘণ্টায় ভারতে 3,23,144 সংখ্যক নতুন কোভিড-19 সংক্রমণ হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে দিনের শেষে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 1,76,36,307 ৷ বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা 28,82,204 ৷ সোমবার মৃত্যু হয়েছে 2,771 জন রোগীর ৷