নয়াদিল্লি, 14 মার্চ: বিশ্ব রাজনীতির আগামিদিনের কথা ভেবে অবিলম্বে জি-20 তে ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ পাশ্চাত্য় দেশ গুলির, বিশেষত আমেরিকার ৷ বিশ্ব রাজনীতির স্বার্থেই এমনটা মনে করছে জর্জিয়া লেদারডেল-গিলহোলি ৷ তাদের মতে, বর্তমানে ভারত বিশ্বের অন্য়তম বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ইতিমধ্য়েই আত্মপ্রকাশ করেছে শুধু তাই নয়, চিনের থেকে অনেক বেশি বিশ্বস্তও বটে ৷ এক্ষেত্রে গিলহোলির দাবি, জি-20 তে ভারত পশ্চিমা দেশগুলির সার্বিক সহায়তা পেলে তা আমেরিকা, জাপান, উত্তর কোরিয়া সহ একাধিক দেশ বাণিজ্য়িকভাবেও লাভবান হবে ৷ কারণ ভারত চিনের তুলনায় অনেক বেশি সম্পদশালী দেশ বলে মনে করছে গিলহোলি৷ অবশ্য় এমনটা ঘটলে তা চিনের মাথা ব্য়াথার কারণ হয়ে উঠবে বলেও সংশয় প্রকাশ করেছে তারা ৷
বর্তমানে জি-20 দেশ গুলির সভাপতিত্ব করছে ভারত৷ ইতিমধ্য়েই দিল্লিতে জি-20'র অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলির বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর ৷ সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না-কাটতে গিলহোলির এই বার্তা বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রে নয়া মাত্রা সংযোজন করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল ৷ গিলহোলির মতে এই মুহূর্তে আমেরিকার উচিৎ পুরনো ধ্য়ানধারণা থেকে বেরিয়ে এসে অবিলম্বে নতুন রাষ্ট্রজোট গঠন করা ৷ পাশাপাশি চিনের প্রতি যেভাবে অতি মাত্রায় পাশ্চাত্য় দেশগুলি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে গিলহোলি ৷ এ বিষয়ে চিনকে কটাক্ষ করে গিলহোলি স্পষ্টত জানিয়েছে, ডোকলাম ও গালওয়ানে ভারতের কাছে দু'বার পর্যদুস্ত হয়ে যাদের পিছু হটতে হয়, তাদের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা দেখানো মুর্খামির নামান্তর ৷
সম্প্রতি ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে সামনে এসেছে বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্ট ৷ যে প্রতিবেদনে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, সীমান্তে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘনের চেষ্টা করছে চিন ৷ যার জেরে সীমান্তবর্তি এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে ৷ এর পাশাপাশি অবশ্য় সরকারের তরফে আশ্বস্ত করে জানানো হয়, অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হলেও সেনা তার যোগ্য় জবাব দিয়েছে ৷