টরন্টো, 24 সেপ্টেম্বর: ফাইভ আইস গোয়েন্দা গোষ্ঠীর অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল কানাডা ৷ তার ফলেই কানাডার মাটিতে খালিস্তানি চরমপন্থীর হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিষয়ে আক্রমণাত্মক অভিযোগ এনেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৷ প্রথমবার এ কথা স্বীকার করে নিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ৷ শনিবার একটি মিডিয়া রিপোর্টে এই খবর মিলেছে ৷
কানাডার 24 ঘণ্টার অল-নিউজ নেটওয়ার্ক সিটিভি নিউজ চ্যানেল কানাডায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড কোহেনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ফাইভ আইজ অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করা গোয়েন্দা তথ্যের কারণেই ভারত সরকার এবং কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্রের প্রকাশ্য অভিযোগ এনেছিলেন ট্রুডো ৷
ফাইভ আইস নেটওয়ার্ক হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি গোয়েন্দা জোট । এটি একটি নজরদারি-ভিত্তিক সিগন্যালস ইন্টেলিজেন্স (SIGINT)। জাস্টিন ট্রুডো 18 সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে কানাডিয়ান নাগরিক খালিস্তানি চরমপন্থী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার সম্ভাবনার বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন ।
ভারত ট্রুডোর অভিযোগকে অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছে । একজন ভারতীয় কর্মকর্তাকে ওটাওয়া থেকে বহিষ্কারের পালটা জবাব হিসেবে এক কানাডিয়ান কূটনীতিককেও বহিষ্কার করেছে দিল্লি । 2020 সালে ভারত 45 বছর বয়সি নিজ্জরকে জঙ্গি তকমা দেয় । সিটিভির প্রতিবেদনটি সিটিভির অনুষ্ঠান কুয়েশ্চেন পিরিয়ড উইথ ভ্যাসি ক্যাপেলোসের একান্ত সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা রবিবার প্রচার হবে ।
আরও পড়ুন: ভারত-কানাডার সম্পর্কের উত্তাপে কি ‘পুড়বে’ এই দেশের কৃষিক্ষেত্র ?
সিটিভি কোহেনকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে, তিনি নিশ্চিত করেছেন, ফাইভ আইস অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করা গোয়েন্দা তথ্যের কারণেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী ওই বিবৃতি দিয়েছিলেন । এরপর থেকে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকে দু দেশের মধ্যে ৷ কানাডা ভারতের কর্মীদের পুনর্মূল্যায়ন করে, আবার কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করে দিল্লি ৷ এই গল্পের কেন্দ্রে কী গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে, কে এটি সম্পর্কে অবগত ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।
কানাডার সঙ্গে ফাইভ আইসের অংশীদারদের দ্বারা গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে কোনও মার্কিন সরকারি কর্মকর্তার এটি প্রথম স্বীকারোক্তি ৷ এই নিয়ে অসমর্থিত ও বেসরকারি সূত্রে খবর আগেই মিলেছিল । সিটিভি রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন এবং দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস থেকে রিপোর্ট এসেছে যে, ট্রুডো যে গোয়েন্দা তথ্যের কথা বলছেন, তা শুধু কানাডা থেকে আসেনি ৷ অতিরিক্ত তথ্য গোয়েন্দা-শেয়ারিং জোটের একজন অনির্দিষ্ট সদস্য দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছিল । (সংবাদসংস্থা পিটিআই)