নয়াদিল্লি, 22 নভেম্বর: জেন্ডার ডিসফোরিয়ায় (Gender Dysphoria) ভুগছিলেন উত্তরপ্রদেশের 34 বছর বয়সি এক মহিলা ৷ তিনি মহিলা হলেও তাঁর যৌন ইচ্ছে ছিল পুরুষদের মতো ৷ সেই নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি ৷ অবশেষে দিল্লির একটি শীর্ষ বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের (Surgery for Love) পর তিনি ক্লিনিক্যালি একজন পুরুষে রূপান্তরিত হতে পেরেছেন ৷ সোমবার এ কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ শুধু তাই নয়, পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে ছোটবেলার বান্ধবীর সঙ্গে বিয়েও করেছেন ওই রোগী ৷
ডাক্তারি পরিভাষায় যেটি জেন্ডার ডিসফোরিয়া, তার অর্থ হল, ব্যক্তির জৈবিক ভাবে উপস্থিত লিঙ্গের সঙ্গে তাঁর অনুভূতির বৈপরীত্যে তৈরি হওয়া মানসিক অস্বস্তি ৷ একেই বলে জেন্ডার ডিসফোরিয়া ৷ স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের (এসজিআরএইচ) প্লাস্টিক এবং কসমেটিক সার্জারি বিভাগ উত্তরপ্রদেশ থেকে দুই মাস আগে এমনই এক মহিলাকে পেয়েছিল, যিনি সম্পূর্ণরূপে একজন পুরুষে রূপান্তরিত হতে চেয়েছিলেন (Penis reconstruction surgery)।
একটি বিবৃতি দিয়ে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে যে, "তিনি ইতিমধ্যে 2017 সালে দুটি স্তন শরীর থেকে বাদ দিয়েছেন ৷ এরপর 2019 সালে জরায়ু, ডিম্বাশয় এবং যোনিও অপসারণ করেছেন । 2016 সাল থেকে পুরুষ হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপিতে ছিলেন তিনি ৷" প্লাস্টিক অ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি বিভাগের শীর্ষ চিকিৎসক ডা. ভীম সিং নন্দা ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন, ওই রোগী সম্পূর্ণ রূপে পুরুষ হতে চেয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন: প্রেম দিবসে বিবাহবন্ধনে সমপ্রেমী যুগল, আইনি স্বীকৃতি পেতে দ্বারস্থ আদালতের
জানা গিয়েছে, তিনি যখন হাসপাতালে গিয়েছিলেন তখন তাঁর দাড়ি, বুকে চুল, পুরুষের কণ্ঠস্বর এবং পুরুষের আচরণ সহ "সমস্ত পুরুষ বৈশিষ্ট্য" ছিল ৷ ডাক্তাররা বলেছিলেন যে, "শুধু পেনাইল পুনর্গঠন (ফ্যালোপ্লাস্টি) এবং পুরষ যৌনাঙ্গ প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন ৷ ডা. নন্দা জানান, "আমরা টিস্যু স্থানান্তরের অত্যাধুনিক মাইক্রো-সার্জিক্যাল কৌশল দ্বারা সম্পূর্ণ পুরুষ হিসেবে রূপান্তরের জন্য পেনাইল পুনর্গঠন (ফ্যালোপ্লাস্টি) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । আমাদের লক্ষ্য ছিল তাঁকে ভালো আকারের, দৈর্ঘ্যের মূত্রনালী (প্রস্রাব করার জন্য) এবং যৌন সংবেদন দেওয়া ।"
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে যে, অস্ত্রোপচারের 6 সপ্তাহ পর সেই রোগী এখন দাঁড়াতে পারেন, মূত্রত্যাগ করতে পারেন ৷ অস্ত্রোপচারের পর তিনি ছাত্রাবস্থার বান্ধবীকে বিয়েও করেছেন ৷