সুরাত, 23 সেপ্টেম্বর: গুজরাতে অন্যকরম গণেশ বন্দনা ৷ প্রায় 182.3 ক্যারেট এবং 36.5 গ্রাম ওজনের একটি হীরে গণেশ রূপে পূজিত হয় সুরাতের ব্যবসায়ী কানুভাই আসোদরিয়ার বাড়িতে ৷ এটির নাম করম ডায়মন্ড ৷ হীরাটি নাকি কোহিনুরের চেয়েও বড় ৷ এমনটাই দাবি করেছেন কানুভাই ৷ জানা গিয়েছে, এই হীরা ব্যবসায়ীর বাড়িতে একটি জাদুঘর রয়েছে ৷ সেখানকার দেওয়ালেই শোভা পায় ভগবান গণেশের প্রতিরূপ হীরাটি ৷ প্রত্যেক গণেশ চতুর্থীতে সেখান থেকে নামিয়ে বিঘ্ননাশককে বন্দনা করা হয় ৷ কানুভাইয়ের দাবি, হীরাটি আফ্রিকার খনি থেকে বের করা হয়েছে ।
কোহিনুরের চেয়েও বড় গণেশরূপী হীরা
মূল্যবান হীরেটিতে গণপতির প্রতিরূপ প্রাকৃতিকভাবে ফুটে উঠেছে ৷ কানুভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা সেটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পুজো করেন । কানুভাই বলেছেন, "লন্ডনের ভারতীয় ডায়মন্ড ইনস্টিটিউট এবং ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস এটিকে একটি অনন্য হীরে হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ৷ হীরেটিকে পরীক্ষাগারে প্রক্রিয়াজাত বা পালিশ করা হয়নি। এই হীরাটি খনি থেকে বের করা হয়েছিল । তখন এটি প্রাকৃতিকভাবে গণেশ রূপেই ছিল । লন্ডনের ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস এটিকে বিশ্বের অনন্য হীরে হিসাবে শংসাপত্রও দিয়েছে।"
কেন এটির নাম করম ডায়মন্ড রেখেছিলেন ?
কানুভাই ব্যাখ্যা করে বলেন, "পৃথিবীতে প্রত্যেকেরই একটি কর্মিক সংযোগ রয়েছে। ভালো কর্ম ভালো ফল দেয় এবং খারাপ কর্ম নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে। আমার কোম্পানির নাম করম এক্সপোর্ট, যেটি হীরা ব্যবসা করে । তাই এটি করম ডায়মন্ড নাম দেওয়া হয়েছিল ৷ যাতে কোম্পানির কর্মীরা তাদের কর্মিক সংযোগ ঠিক রাখতে ঈশ্বরের কাছ থেকে ইতিবাচক মনোভাব এবং আশীর্বাদ পান ।"
আরও পড়ুন: 69 কেজি সোনার আভরণে সাজলেন গণপতি, মানুষের ঢল আন্ধেরির জিএসবি সেবা মণ্ডলের পুজোয়
তাঁর কথায়, এই 182.3 ক্যারেট এবং 36.5 গ্রাম হীরাটি আফ্রিকার খনি থেকে আনা হয়েছিল এবং এটি কোহিনূর হীরার চেয়েও বড় ৷ কোহিনূর এখনও ব্রিটেনে রয়েছে । তিনি প্রাকৃতিকভাবে ক্রিস্টাল এবং মুক্তোতে গণপতি মূর্তিও তৈরি করেছেন । একটি সাত ফুট গণেশ মূর্তিও শোভা পেয়েছে তাঁর জাদুঘরের দেওয়ালে ।