বারামুল্লা, 5 অক্টোবর: মঞ্চে তখন চলছে শাহি ভাষণ । উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভা ঘিরে কডা নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল স্বভাবতই। সকলকে অবাক করে দিয়ে আচমকাই ভাষণ বন্ধ করে দিলেন অমিত । অল্প সময়ের মধ্যেই বোঝা গেল মঞ্চের আশপাশে কোথাও আজান শুরু হয়েছে । আর তাই ভাষণ বন্ধ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । এই ঘটনা বাদ দিলে অবশ্য সভায় শুরু থেকে শেষ আক্রমণাত্মক ছিলেন মোদি মন্ত্রিসভার 'নম্বর টু' (Amit Shah showed respect to Azan)।
ভাষণের এক জায়গায় অমিত জানান, কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে নিমূল করতে মোদি সরকার বদ্ধপরিকর । শান্তি ফিরিয়ে আনা এই সরকারের কর্তব্য । সভায় কাশ্মীরের সন্ত্রাস কতটা ভয়াবহ তা পরিসংখ্যান দিয়ে ব্যাখ্যা করেন শাহ । বলেন, নয়ের দশক থেকে সন্ত্রাসের কারণে কাশ্মীরে প্রায় 42 হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি উপত্যকার উন্নয়ন না হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি পরিবারকে দুষেছেন শাহ। আবদুল্লা, মুফতি থেকে শুরু করে গান্ধি-নেহরুরাই কাশ্মীরের উন্নয়ন করেনি বলে তাঁর অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: আম্বানিদের হাসপাতাল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি !
দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে যে ভারত আলাপ-আলোচনা করবে না, সেকথা স্পষ্ট দেন শাহ । তিনি বলেন, "অনেকেই জানতে চান আমরা কেন পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলছি না । পাকিস্তানের সঙ্গে কেন কথা বলব ? আমরা কাশ্মীরের মানুষদের সঙ্গে কথা বলব । কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে নিমূল করতে মোদি সরকার বদ্ধপরিকর । শান্তি ফিরিয়ে আনা এই সরকারের কর্তব্য । জম্মু কাশ্মীরকে দেশের সবচেয়ে শান্তির জায়গা হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য ।" পাশাপাশি কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য তাদের সরকার কী করেছে সে কথাও তুলে ধরেন শাহ । তিনি জানান, গত তিন বছরে কাশ্মীরের সমস্ত গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ।
উল্লেখ্য, 2019 সালে অগস্ট মাসে 370 ধারা বিলোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার । এই পরিবর্তনের ফলে কাশ্মীর এখন আর কোনও আলাদা রাজ্য নয় । কাশ্মীর এবং লাদাখ এখন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সংসদে এই বিল পেশ করেন শাহ । শুধু তাই নয় বিলের সমর্থনে তিনি যে যুক্তি উপস্থাপিত করেছিলেন তা রাজনৈতিক মহলের কাছে এখনও চর্চার বিষয় । এর প্রায় তিন বছর বাদে কাশ্মীরে গেলেন অমিত । অতীতে অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাশ্মীর সফর করেছিলেন দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানী ।