নয়াদিল্লি, 11 মার্চ: বিপদ বাড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জার একাধিক উপবিভাগ ৷ বিষয়টি নিয়ে শনিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan expressed concern over Influenza) ৷ সমস্ত রাজ্যের সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকে এই বিষয়ে সতর্ক করে এদিন চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি (Union Health Secretary writes Letter to States and Union Territory) ৷ ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জার একাধিক উপবিভাগে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ৷ বর্তমানে দেশের নানা প্রান্তে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ তাই মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সমস্ত প্রশাসনকে সচেতন ও সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন রাজেশ ৷
সমস্যা হল, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হলে মানুষের শ্বাসযন্ত্র ঠিক মতো কাজ করে না ৷ এই সমস্যা কখনও কখনও প্রাণঘাতীও হতে পারে ৷ এই বিষয়ে আমনজনতাকে সচেতন করা দরকার বলে চিঠিতে (Letter on Influenza Situation) উল্লেখ করেছেন রাজেশ ৷ ভাইরাসের ছোঁয়াচ এড়াতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি ৷ শ্বাসকষ্ট হলেই যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে চিঠিতে ৷ কেউ জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্টে ভুগলে, সুস্থ না-হওয়া পর্যন্ত সেই ব্যক্তিকে যতটা সম্ভব নিভৃতবাসে থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
চিঠির এক জায়গায় রাজেশ ভূষণ লিখেছেন, "বর্তমান সময় আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এবং আচরণগত বিভিন্ন কারণে (যেমন- ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা, নাকে-মুখে চাপা না দিয়েই প্রকাশ্যে হাঁচি বা কাশি, রোগগ্রস্ত ব্যক্তির সঙ্গে যথাযথ শারীরিক দূরত্ব বজায় না-রাখা, বন্ধ ঘরে বহু মানুষের একসঙ্গে থাকা ইত্যাদি) ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো একাধিক ব্যধি হচ্ছে ৷ যার মধ্যে অন্যতম এইচ1এন1, এইচ3এন2 প্রভৃতি ৷"
আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে এইচ3এন2 ইনফ্লুয়েঞ্জা, দেশে প্রথম মৃত্যু
চিঠিতে রাজেশ ভূষণ আরও জানিয়েছেন, একেবারে ছোট শিশু কিংবা প্রবীণ কোনও ব্যক্তি যদি উপরোক্ত কোনও সমস্যায় আক্রান্ত হন, তাহলে যেন চিকিৎসা শুরু করতে এতটুকুও সময় নষ্ট না-করা হয় ৷ পাশাপাশি, যাঁদের অন্য কোনও ব্যধি বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরাও যদি ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন, তাহলেও যেন দ্রুত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয় ৷ একইসঙ্গে, ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ থাকা সমস্ত রোগীর করোনা পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব ৷