গুয়াহাটি, 16 ডিসেম্বর: নিষিদ্ধ সংগঠন সংযুক্ত মুক্তি বাহিনী অসম বা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম এবং সে রাজ্যের ডিজির বাকযুদ্ধ ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ জোরহাটে ভারতীয় সেনার ক্যাম্পের বাইরে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ডিজি জিপি সিং ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, সাহস থাকলে আলফা জিডি হেডকোয়ার্টারে হামলা চালিয়ে দেখাক ৷ বিবৃতি জারি করে দু’টি শর্তে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করল নিষিদ্ধ এই সংগঠনের নেতৃত্ব ৷
আলফার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘প্রথমত, স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের বদলে জিপি সিংকে হেডকোয়ার্টারে আধাসেনা বা সেনাকে মোতায়েন করতে হবে ৷ তবে, সেই বাহিনীতে পশ্চিম দক্ষিণ-পূর্ব ভারত অঞ্চলের যুবকদের রাখা যাবে না ৷ এমনকি জিপি সিং গাড়িরচালক ও নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে পশ্চিম দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের যে যুবকদের মোতায়েন করেছেন, তাঁদেরও সরিয়ে দিতে হবে ৷’’
পাশাপাশি, আলফার দ্বিতীয় শর্ত হল, ‘‘জিপি সিংকে গুয়াহাটিতে অন্তত একসপ্তাহ নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ঘোরার সাহস দেখাতে হবে ৷’’ মোটের উপর পুলিশ, আধাসেনা ও সেনাবাহিনীতে থাকা পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের যুবকদের উপর হামলা চালাবে না আলফা ৷ বাকি দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে বাহিনীকে মোতায়েন করার শর্ত রেখেছে নিষিদ্ধ সংগঠন আলফা বা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম ৷ এমনকি জিপি সিংয়ের উপর একা থাকা অবস্থায় হামলা চালানোর দাবি জানিয়েছে তারা ৷
তাদের যুক্তি, সরকারি অফিস, পুলিশ কার্যালয় ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় একাধিকবার স্থানীয় যুবকরা প্রাণ হারিয়েছে ৷ তাই জিপি সিংয়ের চ্যালেঞ্জ তখনই গ্রহণ করবে, যখন অসমের ডিজির নিরাপত্তায় স্থানীয় যুবকদের নিয়ে তৈরি বাহিনী থাকবে না ৷ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় জোরহাটে ভারতীয় সেনা ক্যাম্পের বাইরে গ্রেনেড হামলা চালায় আলফা ৷ আদিবাসী অধ্যুষিত ওই অঞ্চলে ঘটনার পর আতংক ছড়িয়ে পড়ে ৷ গতকাল এই ঘটনার দায়স্বীকার করে একটি বিবৃতি জারি করেছিল এই জঙ্গি সংগঠন ৷ এমনকি তারা দাবি করেছিল, আলফা কখনই আদিবাসীদের উপর হামলা চালায়নি ৷ বরং আদিবাসীরা তাদের বন্ধু ৷ কিন্তু, অসমের ডিজি বাইরের লোক হয়ে, অসম এবং সরকারের মধ্যে চলা সমস্যায় অযাচিতভাবে নাক গলাচ্ছেন ৷
আরও পড়ুন: