ইম্ফল, 17 জুন: ফের অশান্ত মণিপুরে ৷ নিরাপত্তারক্ষী এবং উত্তেজিত জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে দু'জন আহত হয়েছেন ৷ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে বিজেপি নেতাদের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টাও হয়েছে ৷ এছাড় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বিষ্ণুপুর ও চুরাচন্দ্রপুর জেলায় ৷ পশ্চিম ইম্ফলে ইরিংগবাম থানায় লুঠপাট চালানোর প্রচেষ্টাও চালানো হয়েছে ৷ যদিও কোনও অস্ত্র চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি ৷
সরকারি সূত্রে খবর, প্রায় হাজার খানেক লোক থানার কাছে এসে হাজির হয় । থানা চত্বরে থাকা কয়েকটি ভবনে হামলা চালানো হয়। পরে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ পরে থানাতেও হামলা চলে । পালটা মণিপুর ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ) ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ার গ্যাস চালায় এবং রাবারের বুলেট ছুড়তে থাকে ৷ মধ্যরাত পর্যন্ত অসম রাইফেলস, মণিপুর আরএএফ এবং সেনা একসঙ্গে ইম্ফলের বিভিন্ন জায়গায় রুটমার্চ করেছে ৷
ওই উত্তেজিত জনতা স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ ৷ জানা গিয়েছে, আরও এক দল জনতা মধ্যরাতে সিনজেমাইতে বিজেপির অফিস ঘেরাও করেছিল ৷ সেখানে সেনা মোতায়েন থাকায় কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি ৷ ইম্ফলের পোরামপেটের কাছে বিজেপি নেত্রী শারদা দেবীর বাড়িতেও ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়ে বলে খবর ৷
আরও পড়ুন: মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে শান্তি কমিটি গঠন করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোংবায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ তিনি বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ মে মাসের প্রথম দিক থেকে অশান্ত হয়ে রয়েছে উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট রাজ্যটি ৷ মেইটি ও কুকি এই উপজাতির মধ্যে দ্বন্দ্বকে ঘিরে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে ৷ এর মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন৷ শান্তি কমিটি তৈরি হলেও পরিস্থিতি এখনও বদলায়নি ৷