নয়াদিল্লি, 16 জুন : কেন্দ্রীয় সরকারের রোষের মুখে পড়তে হল টুইটারকে (Twitter) ৷ ভারতের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন না মানায় তারা আইনি রক্ষাকবচ হারাল ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র থেকে এটাই জানা গিয়েছে ৷
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হল ৷ জানা গিয়েছে যে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে গত 5 জুন একটি ঘটনা ঘটে ৷ তাতে এক বয়স্ক সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ সেই ভিডিয়োটি টুইটারে আপলোড করেন কেউ কেউ ৷
আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিকের মৃত্য়ুতে সিবিআই তদন্তের দাবি, যোগীকে চিঠি প্রিয়াঙ্কার
আর এই নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক ৷ ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার সময় বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক বলে দাবি করা হয়েছিল ৷ কিন্তু পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সাম্প্রদায়িকতার কোনও যোগ নেই ৷ বরং ওই ব্যক্তি ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে কিছু জিনিস বিক্রি করছিলেন ৷ যা ভুয়ো বলে অভিযোগ তুলে তাঁকে মারধর করা হয় ৷
পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় ছ’জন অভিযুক্ত৷ সেই তালিকায় কয়েকজন হিন্দু রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন কয়েকজন মুসলিমও ৷ এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও সম্পর্ক নেই ৷
আরও পড়ুন : প্রতিবাদ আর সন্ত্রাসবাদ এক জিনিস নয়, দিল্লি হিংসা মামলায় পর্যবেক্ষণ আদালতের
তাই এবার টুইটারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) ৷ আর তার জেরেই ভারতে এই মাইক্রোব্লগিং সাইট আইনি রক্ষাকবচ হারাল বলে জানা গিয়েছে ৷ এটাই প্রথম কোনও মামলা যেখানে অন্য কারও পোস্টের জন্য টুইটারকে আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হতে পারে ৷
এদিকে টুইটারের তরফে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad) টুইটার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ৷ তাঁর দাবি, টুইটারকে একাধিক সুযোগ দেওয়ার পরও তারা নয়া ডিজিটাল আইন মানতে ব্যর্থ হয়েছে ৷ তবে ওই সংস্থা রক্ষাকবচ হারাল কি না, তা নিয়ে ওই পোস্টে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি ৷
আরও পড়ুন : 18 জুন টুইটার কর্তৃপক্ষকে হাজিরা দিতে নির্দেশ পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির
তবে সরকারি সূত্রের খবর, টুইটার আর ভারতে মধ্যবর্তী বা ব্যবহারকারীদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের দাবি করে ছাড় পাবে না ৷ কারণ, তারা নয়া ডিজিটাল আইন মেনে চলার বিষয়ে এখনও সম্মতি দেয়নি ৷ আর তাই উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় তাদের আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হতে পারে ৷
যদিও টুইটারের বক্তব্য, তাদের তরফে একজন অন্তর্বর্তীকালীন কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে এবং সরকারের কাছে এই বিষয়টি তারা খুব শীঘ্রই জানাবে ৷
আরও পড়ুন : প্রয়োজন ফুরিয়েছে, তাই টুইটারকে ছুড়ে ফেলতে চাইছে বিজেপি : সামনা
অন্যদিকে এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও কংগ্রেস নেতার নামও ওই এফআইআরে রয়েছে ৷ তারা মূলত ওই খবরটি রিটুইট করার অভিযোগ উঠেছে ৷ সেই কারণে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, টুইটার যে মিথ্যা খবর আটকাতে পারে না, এর থেকেই সেটা প্রমাণ হয়ে গেল ৷