নয়াদিল্লি, 27 মে : নয়া ডিজিটাল বিধি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই এ বার কংগ্রেস টুলকিট প্রসঙ্গে নীরবতা ভাঙল টুইটার ৷ "মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর সম্ভাব্য হুমকি" এবং "পুলিশ কর্তৃক ভয় দেখানোর কৌশল" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট ৷ তারা আইন মেনে চলতে সচেষ্ট হবে বলে জানালেও কড়া প্রতিক্রিয়ায় টুইটার বলেছে, নয়া বিধিতে মুক্ত কথোপকথনে বাধা দেওয়ার যে উপাদান রয়েছে, তা পরিবর্তন করতে বলা হবে বলে তারা পরিকল্পনা করছে ৷
নয়া বিধিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভারতের জন্য একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার, অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থাপনা তৈরি ও আইনি নির্দেশের 36 ঘণ্টার মধ্যে কোনও কনটেন্টকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷ তবে এই বিধিকে অসাংবিধানিক ও গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষায় আঘাত বলে দাবি করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হোয়াটসঅ্যাপ ৷ এ বার এই নিয়ে প্রথম মুখ খুলল টুইটার ৷
টুইটারের মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "ভারতের জনগণের কাছে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ টুইটার ৷ আমাদের পরিষেবা জনগণের গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনে খুবই জরুরি হিসেবে এবং অতিমারির সময়ে মানুষের সাহায্যকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে ৷ আমাদের পরিষেবা অটুট রাখতে ভারতের আইন মেনে চলার চেষ্টা করব ৷" নয়া বিধি কার্যকরের বিষয়টি আরও ৩ মাস পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করেছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে এ নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে চান বলে জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: গোপনীয়তার অধিকারে প্রয়োজনে বিধিনিষেধ আরোপ করা যায়, হোয়াটসঅ্যাপকে জবাব কেন্দ্রের
টুইটার আরও বলেছে, "বর্তমানে সাম্প্রতি কিছু ঘটনায় আমরা ভারতে আমাদের কর্মীদের নিয়ে চিন্তিত ৷ চিন্তিত যে মানুষের জন্য আমরা পরিষেবা দিই, তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে ৷ জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত করার যৌথ দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচিত প্রতিনিধি, শিল্প ও নাগরিক সমাজকে ৷ আমরা সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে যাব ৷"
এ দিকে, ভারত সরকার জানে গোপনীয়তার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার এবং সরকারের তরফ থেকে ভারতের নাগরিকদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে ৷ হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ যে মামলা করেছে তার জবাবে এ কথা বলেছে কেন্দ্র ৷