সুরাত, 12 মে: কোভিড সেরেছে? কিন্তু শরীরে রয়ে যাচ্ছে নানা প্রভাব, বিশেষত তরুণদের মধ্যে, যা উদ্বেগজনক ৷ সম্প্রতি সুরাতে কোভিড থেকে সুস্থ হওয়া 50-60 শতাংশ রোগীর মধ্যে দেখা দিয়েছে মধ্য মানের ডি-ডাইমার ৷ সঙ্গে সঙ্গে এর চিকিৎসা না করলে, তা মারাত্মক হতে পারে ৷ করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হলেও তার পরবর্তী প্রভাবের ফলে মারা যাচ্ছেন অনেক রোগী ৷ আর এই লক্ষণগুলি বেশির ভাগ সময় তরুণদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে বহু তরুণই হৃদ্পিণ্ডের সমস্যাতেও ভুগছেন ৷
50-60 শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে মধ্য মানের ডি-ডাইমার লক্ষণ
এই প্রসঙ্গে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অতুল অভয়ঙ্কর বলেছেন,"অনেকেই করোনা থেকে সেরে ওঠার পর হঠাৎ মারা গিয়েছেন ৷ সুস্থ হওয়ার পর তারা যেন ডি-ডাইমার পরীক্ষা করিয়ে নেন, যাতে করোনা পরবর্তী প্রভাব ধরা পড়ে ৷ কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ধরা পড়লে, রোগীকে ওষুধ, ইনকেজশন দিয়ে সারিয়ে তোলা যাবে ৷ খুবই দুশ্চিন্তার, তাই মানুষের এই পরীক্ষাটা করে নেওয়া দরকার ৷"
আরও পড়ুন : আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের 44 জনের মৃত্যু , আরও ভয়ঙ্কর করোনার স্ট্রেনের আশঙ্কা
ডি-ডাইমারের কোনও লক্ষণ নেই
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অতুল অভয়ঙ্করের কথায়, "মানুষ হয়তো ভাবছেন, তাঁরা কোভিড-19 থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন, কিন্তু সত্যিটা অন্যরকম ৷ তাঁরা বুঝতে পারছেন না যে শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে, এর ফলে যে কোনও সময় মৃত্যু হতে পারে ৷ পরীক্ষায় যাঁদের হাই ডি-ডাইমার ধরা পড়ছে, তাঁদের রক্ত তরল করতে হেপারিন দেওয়া হচ্ছে ৷ আর ডি-ডাইমার হাই হলেও বাইরে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না ৷ করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ক্লান্তি বোধ করলে অনেক সময়ই রোগীরা মনে করেন যে তাঁরা সুস্থ হচ্ছেন বলে এরকম হচ্ছে ৷ শ্বাসকষ্ট হলে, সেটাও হাই ডি-ডাইমারের লক্ষণ হতে পারে ৷"
ডি-ডাইমার পরীক্ষা কী?
ফুসফুস, হৃদ্পিণ্ড বা মাথায়, কোথাও রক্ত জমাট বাঁধলে, তা এই পরীক্ষায় ধরা পড়বে ৷ সেই পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা করবেন ৷ তবে, এখন ডি-ডাইমার টেস্ট করার প্রয়োজনীয় কিটের অভাব রয়েছে গ্রামাঞ্চলে ৷ যদি রক্ত জমাট বাঁধে আর তা ফুসফুসে পৌঁছায়, তাহলে শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট শুরু হয়, তাই খুব দ্রুত এই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন ৷ সাধারণত, কোভিডের চিকিৎসা চলাকালীন যাঁদের রক্তে অক্সিজেন লেভেল নেমে যায়, তাঁদেরই এই ডি-ডাইমার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ৷