কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: অবশেষে অবসান হল দীর্ঘ জল্পনার ৷ আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Assembly Election 2023) সে রাজ্য থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে জোটবদ্ধ হচ্ছে বাম ও কংগ্রেস (Left-Congress Alliance) ! বুধবার আয়োজিত সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি সূত্রের ৷ পরবর্তীতে, এদিন সন্ধ্য়ায় প্রেস বিবৃতি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছে সিপিএম পলিটব্যুরো ৷
এদিনের প্রেস বিবৃতিতে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়েছে (Tripura Politics) ৷ তাই, ত্রিপুরার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস যৌথভাবে বিজেপি সরকারের 'অত্যাচারী শাসন দ্বারা ধ্বংস হওয়া আইনের শাসন' পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার দাবি জানাবে ৷
আরও পড়ুন: বিজেপির হামলায় ত্রিপুরায় আহত বিধায়ক-সহ 15 জন, অভিযোগ সিপিএমের
এই প্রেস বিবৃতিতে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বক্তব্য হল, "ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই বামফ্রন্ট-সহ সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির উপর শাসক বিজেপির আক্রমণ বাড়ছে ৷ তাই বিরোধী দলগুলি একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করবে ৷ সমবেতভাবে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হবে ৷"
বামফ্রন্টের দাবি, শুধুমাত্র বিরোধীদের উপর আক্রমণ নয়, আসন্ন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করারও চক্রান্ত শুরু হয়েছে ৷ সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বক্তব্য, "আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই সচেষ্ট এবং সক্রিয় হতে হবে ৷ একমাত্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, তবেই ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব ৷"
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার সরকার থেকে বামেদের হটিয়ে ক্ষমতায় আসার আগেই সেরাজ্যে সপ্তম পে কমিশন কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি ৷ মঙ্গলবার রাজ্যের বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে বড় ঘোষণা করেছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা একলপ্তে 12 শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন ! যদিও এই বিষয়ে বিরোধীদের বক্তব্য হল, ভোটের আগে ললিপপ দেখাচ্ছে বিজেপি ৷ ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, "বিজেপি সরকার যে পাপ করেছিল, তার প্রায়শ্চিত্ত করছে ৷ তবে, এই প্রায়শ্চিত্ত করেও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পার পাবে না তারা ৷"
ত্রিপুরা সিপিএমের আরও অভিযোগ, সে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, সংবিধান অচল ! গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে রাজ্যে আইনের শাসন নেই ! ফলে, গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরায় যে কয়েকটি নির্বাচন হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয় বলে দাবি করেছে সেরাজ্য়ের সিপিএম নেতৃত্ব ৷