নয়াদিল্লি, 2 অক্টোবর: কেউ খোয়ালেন জুতো, কারও চুরি গেল অ্যান্ড্রয়েড ফোন ৷ কেউ আবার খালি পায়ে হন্যে হয়ে খুঁজে বেরালেন গাড়ি ৷ মন্ত্রী-সাংসদদের এমন অবস্থা দেখে হতবাক তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ খোদ রাজ্যের মন্ত্রীদের গলাতেও শোনা গেল চরম হতাশার সুর ৷
রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে মহাত্মা গান্ধির সমাধিস্থল রাজঘাটে ধরনা দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, তৃণমূলের সাংসদরা ৷ নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ আর সেই ধরনা অবশ্য শেষ পর্যন্ত চালাতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ নির্ধারিত সময়ের আগেই দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ধরে নেতৃত্বদের বাইরে রীতিমতো বের করে দেয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের ৷ আর সেই ধস্তাধস্তিতেই কোনও মন্ত্রী খালি পায়ে বাড়ি গেলেন, তো কোনও মন্ত্রীকে দেখা গেল খালি পায়ে রাজঘাটের বাইরে গাড়ি খুঁজতে ৷
এদিন জুতো হারালেন পশ্চিমবঙ্গের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জুতো খুলে রাজঘাটে ধরনাস্থলে ঢুকেছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে দেখেন, জুতো যেখানে খুলেছেন, সেখানে তা নেই। কোথাও জুতো আর খুঁজেও পাননি সুজিত বসু। কার্যত একই অবস্থা রেজ্যের আরও এক মন্ত্রী গোলাম রব্বানিরও ৷ পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশমন্ত্রী গোলাম রব্বানির জুতো যেমন হারিয়েছে, তেমনই দীর্ঘক্ষণ খুঁজে পাননি গাড়িও ৷ অন্যদিকে, অ্যান্ড্রয়েড ফোন হারিয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের ৷
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি জানান, তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতেই ছিলেন ৷ কোনও স্লোগানও দেওয়া হয়নি ৷ কিন্তু আচমকা দিল্লি পুলিশ এসে তাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় ৷ এমনকী তিনি একজন রাজ্যের মন্ত্রী সেই পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ তাঁর গায়ে হাত তুলেছে বলেও অভিযোগ করেছেন গোলাম রব্বানি ৷ এদিন তিনি বলেন, "আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম ৷ পুলিশ এসে আমাদের উপর চড়াও হয় ৷ আমাদের রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় ৷" এরপরই তিনি জানান, সেই ধাক্কাধাক্কির জেরেই তাঁর জুতো হারিয়ে যায় ৷ এরপর খালি পায়ে দীর্ঘক্ষণ রাজঘাটের বাইরে নিজের গাড়ি খুঁজতেও দেখা যায় মন্ত্রী গোলাম রব্বানিকে ৷
আরও পড়ুন: সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই অভিষেককে বাধা পুলিশের, বের করে দেওয়া হল রাজঘাট থেকে !
অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তুনু সেন জানান, দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তির সময় ফোন পিক পকেট হয়ে যায় ৷ একই সঙ্গে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে সরাসরি ফোন চুরি করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে শান্তুনু সেনের তরফে ৷